scorecardresearch
 

EXCLUSIVE: গান করুন, কিন্তু নিরপেক্ষ সেজে মিথ্যে বলবেন না: রুদ্রনীল

সপ্তাহ দুয়েক আগে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনা একটা গানকে কেন্দ্র সরগরম হয়ে উঠেছিল। নিজেদের মতে নিজেদের গান। টলিউডের নামী কিছু মুখকে এই গানে দেখা গিয়েছে। গানটি মূলত বিজেপি বিরোধী হিসাবেই পরিচিতি পেয়েছে। তারই পাল্টা হিসাবে বিজেপি-র তরফ থেকে একটি গান প্রকাশ করা হল। এই গানের লড়াই নিয়ে আজতক বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষারকার দিলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

Advertisement
রুদ্রনীল ঘোষ রুদ্রনীল ঘোষ
হাইলাইটস
  • নিজেদের মতে নিজেদের গান। টলিউডের নামী কিছু মুখকে এই গানে দেখা গিয়েছে
  • গানটি মূলত বিজেপি বিরোধী হিসাবেই পরিচিতি পেয়েছে
  • তারই পাল্টা হিসাবে বিজেপি-র তরফ থেকে একটি গান প্রকাশ করা হল

সপ্তাহ দুয়েক আগে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনা একটা গানকে কেন্দ্র সরগরম হয়ে উঠেছিল। নিজেদের মতে নিজেদের গান। টলিউডের নামী কিছু মুখকে এই গানে দেখা গিয়েছে। গানটি মূলত বিজেপি বিরোধী হিসাবেই পরিচিতি পেয়েছে। তারই পাল্টা হিসাবে বিজেপি-র তরফ থেকে একটি গান প্রকাশ করা হল। এই গানের লড়াই নিয়ে আজতক বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষারকার দিলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ

 

প্রশ্ন: আগের গানের পাল্টা হিসাবেই কি এই গান?
রুদ্রনীল: পাল্টা হিসাবে আমি দেখছি না। ওই গানে যতই নিরপেক্ষ সেজে কথা বলুন, তাঁরা পশ্চিবঙ্গে ঘটে যাওয়া কোনও অন্যায়ের কথা বললেন না। এখানেই ওঁরা ধরা পড়ে গেছেন মানুষের কাছে। তৃণমূল এবং সিপিএম যৌথভাবে এই কাজটা করছে। ওই গানে যাঁদের দেখা যাচ্ছে তাঁরা তৃণমূলের ক্ষমতাটা চায় এবং সিপিএমের নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে রয়েছে। তাঁদের গণতান্ত্রিক ইচ্ছা, তাঁরা করেছেন। এই গানটি কারা দেখেছেন বা শুনেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষই তো। এখানে চাকরি চুরি, ত্রাণ চুরি বা রাজ্য সরকারের চুরি জোচ্চুরি নিয়ে একটা লাইনও এসেছে? না আসেনি। আমাদের কাউন্টার হচ্ছে সত্যি একটা ইতিহাসকে মানুষের সামনে তুলে ধরা।

 

প্রশ্ন: রাজনৈতিক পরিসরে এটাকে সুস্থ প্রতিযোগিতা বলা যায়। গানের মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরা মানুষের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য, তাই নয় কি?
রুদ্রনীল: আমরা এটাকে কম্পিটিশন হিসাবে দেখিনি। যাঁরা মনে করবেন কম্পিটিশন সেটা তাঁদের ব্যাপার। তবে গানের নামে, প্রচারের নামে শুধু মিথ্যে কথা বলবেন না। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে গালাগাল করছে, মিথ্যেবাদী বলছে কিছু মানুষ। যে জনগণ বিজেপিকে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টা আসন দিয়েছে তা হলে কি এঁরা তাঁদেরও মিথ্যেবাদী বলছে? নাকি তাঁদের অন্ধ বলে অপমান করছে। তার মানে গান যাঁরা বানিয়েছেন, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের ৮০ শতাংশ মানুষের অসুবিধাগুলোকে অস্বীকার করার চেষ্টা করছেন। সুতরাং এটা তাঁদের বাউন্স ব্যাক করবে, তাঁদের বিপক্ষে যাবে, এবং সেটা গিয়েছেও।

Advertisement

প্রশ্ন: তার মানে আপনি বলতে চাইছেন এটা সিপিএম এবং তৃণমূলের একযোগে একটা প্রপাগান্ডা করার চেষ্টা?
রুদ্রনীল: কিছু সিপিএম-এর লোকজন তৃণমূলের হয়ে প্রচারটা করছেন বিজেপিকে হারানোর জন্য।

 

প্রশ্ন: সিপিএম তো জোট করে এই ভোটে লড়ছে। তারা তো তৃণমূলেরও বিরোধী পক্ষ হিসাবেই লড়ছে ভোটে?
রুদ্রনীল: কিন্তু এই গান তো সে কথা বলছে না। যাঁরা এই অ্যালবামটা বানিয়েছেন, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে একটা লাইনও বললেন না কেন, একটা অন্যায় নিয়েও কোনও কথা বললেন না স্পষ্ট করে? এটা তো রোহিঙ্গা গীতি হয়ে গিয়েছে। গানের লাইনে বলছে আমরা অন্য কোথাও যাব না এই দেশেতেই থাকব, তাই তো? কে বলেছে যেতে, কাউকে কি যাওয়ার কথা বলা হয়েছে? এটা তো বহিরাগদের বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের বলা হচ্ছে। সারা পৃথিবীতে যে নিয়ম রয়েছে এ দেশেও তাই। অনুপ্রবেশকারীদের দেশে রেখে দেওয়ার তো কথা নয়, তাই না? পুরো গানটার শুরু এবং শেষটাই তো মিথ্যাচার।

 

প্রশ্ন: গানে CAA এবং NRC নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। কেন বলে মনে হয় আপনার?
রুদ্রনীল: একটা সময় এই বহিরাগতদের ভোটে সিপিএম জিতত, এখন সেই ভোটে তৃণমূল জেতে। আমাদের দেশের মানুষ খেতে পাচ্ছে না সেখানে বাংলাদেশ, মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছে দেশে। সেটাকেই তো আটকানোর চেষ্টা। CAA-তে দেশের মানুষকে কোথাও যেতে বলা হয়নি। যাঁরা অবৈধ ভোটার তাঁদের জন্য এঁদের এত দুঃখ কেন?

 

প্রশ্ন: ভবিষ্যতে এ ধরনের সাংস্কৃতিক লড়াই কি আমরা আরও দেখতে পাবো?
রুদ্রনীল: দেখুন বিভিন্নতাই এ দেশের বৈচিত্র। সেখানে সংস্কৃতিতেও বিভিন্নতা থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে নিরপেক্ষ সেজে মিথ্যে কথা বলবেন না। নিজেদের সত্যিকারের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করুন, করে গান করুন। বলুন এটা রাজনৈতিক গান। সেটা অনেক বেশি সম্মানের।

 

Advertisement