সাংহাইয়ের ফুদান ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, চিন যদি জিরো করোনা নীতি তুলে নেওয়া তাহলে দেশে করোনার সুনামি হতে পারে! তখন চিনে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করাই কঠিন হয়ে পড়বে। যার ফলে সেখানে প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি সমকক্ষ-পর্যালোচিত সমীক্ষা অনুসারে, মার্চ মাসে চিনের টিকাকরণ অভিযান করোনার ওমিক্রন রূপের তরঙ্গ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় অনাক্রম্যতা তৈরি করতে যথেষ্ট হবে না। একই সঙ্গে বয়স্কদের কম টিকাদান এবং সেখানে কম কার্যকর স্থানীয় ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভরতার কারণে করোনার ঝুঁকি বাড়বে।
সমীক্ষায় জানা গেছে, চিন সরকার যদি করোনার কারণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তাহলে দেশে ১০ কোটি মানুষ করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হতে পারে। পাশাপাশি, ৫১ লাখেরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং ১৬ লাখ রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
চিনে ক্রমবর্ধমান করোনা আক্রান্তের মধ্যে এই গবেষণাটি মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সোমবার সাংহাইয়ে প্রায় ৩ হাজার নতুন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে এই সংখ্যা এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রিপোর্ট করা প্রতিদিনের করোনা মামলার তুলনায় অনেক কম।
এপ্রিলের মাঝামাঝি, এখানে প্রতিদিন গড়ে ২৬ হাজার কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। সোমবার সাংহাইয়ে ৬ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৩।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) চিনের শূন্য-কোভিড নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জেনেভায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে টেড্রস বলেন, ভাইরাসটি তার প্রকৃতি পরিবর্তন করে আরও সংক্রামক হয়ে উঠছে। তাই এখন এটি প্রতিরোধের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান বলেন যে, চিনের এই জিরো-কোভিড নীতি যতটা উদ্বিগের, করোনার বিরুদ্ধে এটা ততটা কার্যকর নীতি বলে আমরা মনে করি না। তিনি বলেন, ভাইরাসের পরিবর্তনশীল প্রকৃতির কারণে এখন ব্যবস্থাও বদলাতে হবে।