ওমিক্রনের কারণে দেশের করোনা পরিস্থিতি লাগামহীন হয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ওমিক্রন ডেল্টার মতো বিপজ্জনক নয়। তাই এবার করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন সে ভাবে হচ্ছে না।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানান, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল WHO। কিন্তু ৯০টি দেশ এখনও তাদের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশকে টিকা দিয়ে উঠতে পারেনি।
কিন্তু টিকা দিয়ে হয় করোনায় মৃত্যুর হার কমানো যেতে পারে, ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে কি? থার্ড ওয়েভে এমন অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাঁরা ইতিমধ্যেই টিকা নিয়েছেন। তাহলে কি করোনার টিকা ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে পারবে না?
রাশিয়ান ভ্যাকসিন Sputnik V আমেরিকান ভ্যাকসিন ফাইজারের চেয়ে করোনার নতুন ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে বেশি কার্যকর। গামলেয়া ইনস্টিটিউট ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কিমাইক্রোবায়োলজি এবং ইতালীয় স্পালাঞ্জানি ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
গামলেয়া ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ বলেন, গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে Sputnik V-এ লড়াই করার ক্ষমতা অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় বেশি।
এই ভ্যাকসিনটি নতুন এই ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। স্পলাঞ্জনি ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণা অনুসারে, স্পুটনিক লাইটের একটি বুস্টার ডোজ অন্যান্য ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও দীর্ঘ সময়ের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারে।
রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)ও এই গবেষণায় একটি বিবৃতি জারি করেছে। Sputnik V ভ্যাকসিনটি গামলয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এবং RDIF যৌথভাবে তৈরি করেছে। RDIF বলেছে যে Sputnik V-কে বুস্টার ডোজ হিসাবে মিক্স এবং ম্যাচ হিসাবে ব্যবহার করা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক হতে পারে।