Bardhaman: চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়ে মাকে অ্যাম্বুল্যান্সে ফেলে টাকা সোনা নিয়ে পালিয়ে গেল গুণধর ছেলে।
দেবী দুর্গা মায়ের আগমন ঘিরে মেতে উঠেছে যখন তার সন্তানরা। ঠিক তখনই গ্রামের বাড়িতে বাধ্যক্যজনিত কারণে বিছানাগ্রস্থ হয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন এক মা। তাকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়ে টাকা সোনা নিয়ে চম্পট গুণধর ছেলের। ভাগ্যিস ড্রাইভার গ্রামেরই ছেলে। তাই গ্রামেরই ফিরিয়ে নিয়ে আসে বৃদ্ধাকে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি থানার নবখণ্ড গ্রামের বাসিন্দা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ছেলে সুপ্রিয় বন্দ্য়োপাধ্যায় ওরফে কান্তি এক বেসরকারি সংস্থায় কোম্পানিতে মোটা মাস মাহিনায় চাকরি করেন। স্বামী অজিত বন্দ্যোপাধ্য়ায় মারা যাওয়ার পর সেই চাকরিতে যোগ দেয় সুপ্রিয়।
এমনকী হাওড়ার বকুলতলা থানার দক্ষিণ বাঁকসারার কেঠোপুলের বসত বাড়িটির মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলে জানা গেছে। কিন্তু কয়েক বছর আগে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে গলসির বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ছেলে সুপ্রিয়। গ্রামের বাড়িতে কিছুদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় ও অনাহারে দিন কাটাতে দেখে প্রতিবেশীরা সুপ্রিয়কে ফোন করে চিকিৎসার জন্য ডাকেন। বার বার ডাকে আসে ছেলে।
কথা মতো তাঁকে হাওড়াতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান মাকে । চিকিৎসা করিয়ে নিজের হাওড়ার বাড়িতে রাখা তো দূর, শেষ পুঁজিটুকু হাতিয়ে নিয়ে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে ফেলে পালিয়ে গেল গুনধর ছেলে। রাত দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর অগত্যায় অ্যাম্বুল্য়ান্স ড্রাইভার তাকে গ্রামের জরাজীর্ণ বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।
তারপর সকাল থেকে বাড়ির বাইরে তাকে কাতরাতে দেখে প্রতিবেশীরা স্থানীয় পুরুসা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। এখন তিনি বাড়িতে ফিরে এলেও তার বাড়িতে একটা কৌটাতে কয়েকটি বিস্কুট আর মুড়ি ছাড়া কিছুই নেই। তা-ও উঠে নিজে খাওয়ার ক্ষমতা নেই।
হাওড়ায় চিকিৎসা করতে নিয়ে গিয়ে ব্যাগ নিয়েই মাকে ধোঁকা দিয়ে পালায় ছেলে। সেই ব্যাগে মমতা দেবীর পরনের কাপড়, নগদ টাকাকড়ি ও সোনার গয়না ছিল। অমানবিক এই ঘটনার জেরে প্রতিবেশীরা সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে গলসি থানায় লিখিত অভিযোগে করেছেন। এদিকে ওই বিষয়ে সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।