হাজার হাজার বাংলাদেশি মহিলাদের পাচার এবং দেহব্যবসার অভিযোগে ৪ মহিলা সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ইন্দোর পুলিশ। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত বিজয় দত্ত ওরফে মুমিনকে ধরতে পেরেছে পুলিশ। (সব ছবি প্রতীকী)
মুমিন বাংলাদেশের বাসিন্দা। ১০ বছর আগে ভারতে পালিয়ে এসেছিল বলে অভিযোগ। এখানে বিজয় দত্ত নামে থাকত সে।
অভিযোগ, বাংলাদেশে তার স্ত্রী রয়েছে। সেখান থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে বাঙালি মেয়েদের নিয়ে এসে এদেশে পাচার ও দেহব্যবসার কাজে নামাত মুমিন।
ইন্দোর, রাজগড়, খান্ডওয়া, খারগোন সহ অনেক জেলায় এই গ্যাং হাজার হাজার মেয়েকে দেহব্যবসার কাজে নামিয়েছে মুমিন।
২০২০ সালে ইন্দোরে বড় সড় সেক্স ব়্যাকেটের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। ২১ জন বাংলাদেশি মহিলা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তাদের সঙ্গে মাদক যোগও পাওয়া যায়।
ওই মহিলাদের ছাড়া আরও ৩৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই প্রথম বার বিজয় দত্ত ওরফে মুমিন সম্পর্কে জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
১৫ নভেম্বর বিজয়নগরে আরেকটি হোটেলে মধুচক্রের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। ৫ জন বাংলাদেশি যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়। তখনও বিজয় দত্তের নাম উঠে আসে।
ইন্দোর পুলিশের বিশেষ দল মুম্বইতে যায়। সেখানে ১ সপ্তাহ ধরে মুমিনের সম্পর্কে খোঁজ নিতে থাকে। তখন জানা যায় আদতে মুমিন বাংলাদেশের বাওয়ান জেলার বাসিন্দা।
১০ বছর আগে মুমিন বাংলাদেশ থেকে মুম্বইয়ে পালিয়ে আসে। জাল কাগজ তৈরি করে নাম পরিবর্তন করে। মুম্বইতে দ্বিতীয় বিয়েও করে।
তার প্রথম স্ত্রী বাংলাদেশে একটি এনজিও চালায়। সেখান থেকে আর্থিক ভাবে দুর্বল মহিলাদের এদেশে পাঠাত তার স্ত্রী। মুমিন সেই সব মেয়েদের মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার করত।
জানা গিয়েছে, প্রতি বছর হাজার হাজার মেয়েদের এভাবে নিয়ে আসা হত। হাওয়ালার মাধ্যমেই টাকা লেনদেন চলত।
অভিযোগ, মুমিনের নেটওয়ার্ক গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশসহ দেশের সব রাজ্যে ছড়িয়ে। অন্তত ১০ হাজার বাংলাদেশি মহিলাকে এদেশে পাচার করিয়ে এনেছে মুমিন।