বনদপ্তর সূত্রে জানাগেছে উদ্ধার হওয়া বার্মাটিক কাঠের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় 40 লক্ষ টাকা। শনিবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়।
শিলিগুড়িকে করিডোর করে প্রতিদিনই অবৈধভাবে চোরাপথে পাচার হচ্ছে কাঠ। তবে মাঝেমধ্যে বনদপ্তরের অভিযানে পাচারকারীদের পাচারের আগেই তাদের ছক বানচাল করে দেয় বনদপ্তর।
একইভাবে শনিবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিল বনদপ্তরের বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের সারুগাড়া রেঞ্জ।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে আগাম খবর ছিল একটি ট্রাকে মনিপুর থেকে কাঠ হরিয়ানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।
সেইমত গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি রোডে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে অভিযান চালায় বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের সারুগাড়া রেঞ্জের বন কর্মীরা।
সন্দেহ হওয়ায় হরিয়ানার নম্বরের একটি ট্রাক প্রথমে আটক করা হয়। ট্রাকটিতে কাঁচের গুড়ো ভরতি বস্তা দিয়ে ভরা ছিল। যার নীচে রাখা ছিল বার্মাটিক কাঠ।
যদিও ট্রাকটিকে দেখলে বোঝাই যাবে না যে সেটির নীচে বিপুল পরিমান অবৈধ কাঠ বোঝাই করা রয়েছে। বনকর্মীরা ট্রাকটিতে বস্তা সরিয়ে তল্লাশি চালালে উদ্ধার হয় ওই চোরাই কাঠ। ঘটনায় হরিয়ানার মেওয়ারের বাসিন্দা মহম্মদ সামদিন ও মহম্মদ ইজরায়েল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।