হৃত্বিক রোশন অভিনীত "ধুম" সিনেমার কথা মনে আছে ! পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একের পর এক বড় বড় চুরি করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যেত চোর। সেই সেলুলয়েডের গল্পই এবার বাস্তবে ঘটলো ভারত-ভুটান সীমান্তের প্রান্তীয় জেলা আলিপুরদুয়ারে।
করোনা কালে জেলায় একের পর এক মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগ জমা পড়ছিল একাধিক থানায়। মোটর সাইকেল চুরির গ্যাং ধরতে হন্যে হয়ে ঘুরছিলো পুলিশ।
কিন্তু চুরির কিনারা করতে পারছিলো না গোটা জেলার তাবড় পুলিশ অফিসারেরা। ধূর্ত চোরের দলটি পুলিশকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একের পর এক মোটর সাইকেল উধাও করে যাচ্ছিল। সিভিক ভলেন্টিয়ার,পুলিশের স্পাই, লাগিয়েও একটি ঘটনারও কিনারা করতে পারেনি জেলা পুলিশ।
অবশেষে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার প্রতি থানায় মোটর বাইক চুরির কিনারা করতে একটি করে বিশেষ দল গঠন করে। এ ছাড়াও জেলায় পুলিশের একটি সেন্ট্রাল টিম গঠন করা হয়।
এই সেন্ট্রাল টিমের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জয়গাঁ মহকুমার পুলিশ আধিকারিক এবং বীরপাড়া থানার ওসিকে। অবশেষে এই বিশেষ টিম এবং সেন্ট্রাল টিমের দৌলতেই ধরা পড়লো মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত দুই দাগী অভিযুক্ত।
মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় দুই অভিযুক্ত আন্তঃরাজ্য মোটর সাইকেল চুরির সাথে যুক্ত বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে। দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ ২২ টি চুরি হওয়া মোটরবাইক উদ্ধার করেছে।
আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্তের নাম সুনীল ওরাওঁ, জাকির আনসারি। এর মধ্যে সুনীল এর বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রামে। জাকির হোসেনের বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারে।