Uttar Pradesh: গাজিয়াবাদ (Ghaziabad)-এ এক বড়সড় রকমের প্রতারণা চক্র ধরা পড়ল। পুলিশ তাদের ধরেছে জানা গিয়েছে। ন্যুড ভিডিও শুট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেব। এমনভাবেই হুমকি দেওয়া হত তাদের 'শিকার'কে। আর তারপর তাদের কাছ থেকে হাতানো হত মোটা অংকের টাকা। এমন করেই দীর্ঘদিন চলছিল। কিন্তু পুলিশ সেই চক্র পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে।
গাজিয়াবাদ (Ghaziabad) পুলিশ গুজরাটের রাজকোটের বাসিন্দা তুষার নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করে। বেশ নড়েচড়ে বসে তারা। আর তারপর তদন্ত করতে নেমে এসে এমনই চাঞ্চল্যকর কথা জানা গিয়েছে। রাজকোটের ওই যুবক অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে। আঁর তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
এরপর নিজেদের কাজে নেমে পড়ে গাজিয়াবাদ পুলিশ। সঙ্গে সাইবার টিম। তারা ই চক্রের প্রধান যোগেশ গৌতম আর তার স্ত্রী স্বপ্না গৌতমকে রাজনগর এক্সটেনশন থেকে গ্রেফতার করেছে। স্বামী স্ত্রী মিলে চালাত এই প্রতারণা চক্র। বিভিন্ন মানুষকে হুমকি দিত।
আর ব্ল্যাকমেইল করত। বদনাম করা হুমকি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। টাকা দাও না হলে কিন্তু অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হবে। এই হুমকি দেওয়া হত।
এখনও পর্যন্ত প্রচুর মানুষের সঙ্গে এ কাজ করা হয়েছে। তেমন করে বাগিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। জানা গিয়েছে, কোটি টাকারও বেশি তুলেছে তারা।
তল্লাশির পরে প্রচুর জিনিস উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে পর্ন ভিডিও, আপত্তিজনক বিভিন্ন জিনিসপত্র, ল্যাপটপ, মোবাইল, অশ্লীল ভিডিও, মেমোরি কার্ড, পেনড্রাইভ, মহিলাদের বিভিন্ন রকমের আন্ডারঅয়্যার, নগদ ৪ হাজার টাকা, রুপোর গয়না।
ওই চক্র নাসিক, দিল্লি-এনআরসিতে সক্রিয় ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে তারপর তাদের হাত আরও চওড়া হয়েছিল। এবং তা পৌঁছেছিল গুজরাটের রাজকোটেও। সেখানে এক ব্যক্তিক ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতানোর চেষ্টা হয়েছিল। আর তা একেবারে ৮০ লক্ষ।
চাকরি দেওয়ার নাম করে মেয়েদের দিয়ে করানো হত খারাপ কাজ। গাজিয়াবাদ এসপি সিটি নিপুণ আগরওয়াল জানিয়েছেন, এই দলের প্রধানের স্ত্রী স্বপ্না কয়েক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যেখান থেকে ব্লাকমেইল করার আইডিয়া আসে।
আর তারপর শুরু হয়ে যায় তাদের 'খেল'! গত দুই বছর ধরে এই কাজ করে আসছে তারা। এই কাজে বেশ কয়েকজন তরুণীকে যুক্ত করা হয়েছিল। যাদের চাকরি দেওয়ার নাম করে কাজে লাগানো হয়েছিল।
কাজ করা হত অশ্লীল ভয়েস কল আর নুড ভিডিও কলের। জোর করেই তাদের দিয়েছি কাজ করানো হত। অনেকেই সেই চক্রে পা দিতেন। আর নিজের পার্সোনাল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে অশ্লীল ভিডিও চ্যাট শুরু করে দিতেন।
তার পরেই তাদের কাছ থেকে টাকা হাতানো শুরু হত। যে মেয়েটি ভিডিও চ্যাট করত তাকে মাসে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হত। আর যে শুধু কল করত তাকে মাসে ১০ টাকা করে বেতন দেওয়া হত।
এরা সবাই অবশ্য একটা ওয়েবসাইটে নিজেদের জাল আইডি বানিয়েছিল। ওয়েবসাইটটি এক পর্ন ওয়েবসাইট। আর সেখান থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে থাকা বিভিন্ন মানুষের ফোন নম্বর বা তথ্য জোগাড় করত।