
স্বামী যৌনতায় অক্ষম। নিজেই পুত্রবধূকে গর্ভবর্তী বানাতে মরিয়া শ্বশুর। কিন্তু তাতে রাজি নয় ওই মহিলা। এরপরেই তার উপর চলে অকথ্য অত্যাচার। এমনটাই দাবি করে পুলিশের দ্বারস্থ এক মহিলা। (সব ছবি -প্রতীকী)

ঘটনা মহারাষ্ট্রের। বছর চারেক আগে ওই মহিলার সঙ্গে এক যুবকের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন পরে মহিলা বুঝতে পারেন তাঁর স্বামী যৌনতায় অক্ষম।

মহিলার অভিযোগ, বিয়ের আগে পুরো বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বিয়ের পরেই স্বামীর এই রোগ সম্পর্কে তিনি বুঝতে পারেন।

মহিলার দাবি, সেই কথা তিনি নিজের আত্মীয়দের জানান। বিষয়টি জানতে পারেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

অভিযোগ, এরপরেই তাঁর উপরে নেমে আসে চরম অত্যাচার। শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা হয়।

এখানেই থেমে থাকেনি। স্বামী যৌনতায় অক্ষম বলে মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে সন্তান জন্ম দিতে চেয়েছিল শ্বশুর। এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার।

কিন্তু কোনওমতেই ওই মহিলা রাজি হননি। শ্বশুরের হাতে মারধর খেতে হল বলে অভিযোগ।

এক তান্ত্রিকের কাছেও ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই তান্ত্রিকের পরামর্শে ওই মহিলাকে জোর করে শ্বশুরবাড়ির লোকের মুরগির রক্ত খাওয়ায় বলে অভিযোগ।

শেষে অত্যাচারে না সয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই মহিলা। খবর পেয়েই তৎপর হয় স্থানীয় থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় স্বামী ও শ্বশুরকে।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে নির্যাতিতার বিয়ে হয়েছিল। আপতত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।