Mobile Phones Seized: স্টেশনে ব্যাগ খুলতেই বের হল ডজন ডজন ফোন! কী করা হত এগুলো নিয়ে?

ফরাক্কা স্টেশন থেকে উদ্ধার একের পর এক মোবাইল ফোন। সংখ্যাটা শুনলে চোখ কপালে উঠবে; একশো সাতচল্লিশ! সোমবার সকালে নিউ ফরাক্কা স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে এই বিপুল সংখ্যায় ফোন উদ্ধার করল জিআরপি।

Advertisement
স্টেশনে ব্যাগ খুলতেই বের হল ডজন ডজন ফোন! কী করা হত এগুলো নিয়ে?প্রতীকী গ্রাফিক্স
হাইলাইটস
  • ফরাক্কা স্টেশন থেকে উদ্ধার একের পর এক মোবাইল ফোন।
  • সংখ্যাটা শুনলে চোখ কপালে উঠবে; একশো সাতচল্লিশ!
  • সোমবার সকালে নিউ ফরাক্কা স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে এই বিপুল সংখ্যায় ফোন উদ্ধার করল জিআরপি।

ফরাক্কা স্টেশন থেকে উদ্ধার একের পর এক মোবাইল ফোন। সংখ্যাটা শুনলে চোখ কপালে উঠবে; একশো সাতচল্লিশ! সোমবার সকালে নিউ ফরাক্কা স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে এই বিপুল সংখ্যায় ফোন উদ্ধার করল জিআরপি। ঘটনায় গ্রেফতার দুই যুবক।

জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম দাউদ ইব্রাহিম ও তহিরুপ শেখ। দু’জনেরই বাড়ি মালদহ জেলার কালিয়াচক এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালেই স্টেশনে নজরদারি শুরু করে রেল পুলিশ। কিছুক্ষণ পর উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা আপ ব্রহ্মপুত্র মেল পৌঁছয় নিউ ফরাক্কা স্টেশনে। সেই ট্রেন থেকেই নেমেছিল ওই দুই যুবক। তখনই সন্দেহ হয় কর্তাদের। জিজ্ঞাসাবাদের পর ব্যাগ খুলতেই চমক। একের পর এক মোবাইল ফোন বেরিয়ে আসে ব্যাগ থেকে। গুনে দেখা যায়, মোট ১৪৭টি ফোন!

রেল পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই সব ফোন কালিয়াচক হয়ে বাংলাদেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল। ফরাক্কার জিআরপি ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পারিজাত সরকার বলেন, 'গোপন খবরের ভিত্তিতেই আমরা অভিযান চালাই। ধৃতরা স্বীকার করেছে, মোবাইলগুলো সীমান্ত পেরিয়ে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। এখন দেখা হচ্ছে, এর পিছনে আরও বড় কোনও চক্র কাজ করছে কি না।'

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শুরু হয় চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, সীমান্ত লাগোয়া এই অঞ্চলে এ ধরনের চোরাচালান নতুন নয়। কখনও মোবাইল, কখনও সোনার বার, কখনও আবার বিদেশি মদ; নানা রকম জিনিস এভাবেই হাতবদল হয় সীমান্ত পথে। পুলিশ জানাচ্ছে, সম্প্রতি এই রুট ধরেই একাধিক পাচারের খবর মিলেছে। তাই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলির মধ্যে বেশির ভাগই নতুন, দামী স্মার্টফোন। বাজারদর ধরলে, সব মিলিয়ে দাম কয়েক লক্ষ টাকার। প্রাথমিকভাবে অনুমান, এগুলি উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ফরাক্কা ও কালিয়াচক অঞ্চলের বাসিন্দাদের কথায়, সীমান্তের এই রেলপথ বহু দিন ধরেই পাচারের অন্যতম রাস্তা। জিআরপি–র এই অভিযান হয়তো সাময়িকভাবে সেই চক্রে ধাক্কা দেবে, কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন, 'এই পথে চোরাচালান বন্ধ করতে হলে বড়সড় অভিযান চালাতে হবে। শুধু ধরলেই হবে না, মূল চক্র ধরতে হবে।'

Advertisement

ফরাক্কা জিআরপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য কেউ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া সমস্ত মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃত দুই যুবককে সোমবারই আদালতে তোলা হবে।

সংবাদদাতা: সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়

POST A COMMENT
Advertisement