কোন্নগরে এলাকাবাসীর রোষের মুখে অভিযুক্ত সেই যুবকফটোকপির দোকানের আড়ালে বিকৃত কাম চরিতার্থ করত। কোন্নগরে একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক যুবক। তরুণী থেকে বৃদ্ধা, সব বয়সী মহিলারাই টার্গেট ছিল। ধরা পড়ার পরে ওই ব্যক্তির বাংলাদেশ যোগের তত্ত্বও উঠে আসছে। হুগলির কোন্নগরে তুলকালাম কাণ্ড।
ফটোকপি করতে এলেই মহিলার ছবি রেখে দিত
কোন্নগরের কানাইপুর বাসাই অটোস্ট্যান্ডের কাছে প্রান্ত নামে ওই ব্যক্তির একটি মুদিখানার দোকান রয়েছে। ওই দোকানে ফটোকপিও করা হত। অভিযোগ, যে সব মহিলারা ওই দোকানে ফটোকপি করাতে আসতেন কাগজপত্র, সেই সব মহিলাদের ছবি রেখে দিত সে। এরপর ওই ছবি দিয়ে আপত্তিকর ছবি বানাতো। প্রান্তর একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখান থেকে এই বিষয়টি জানতে পারেন ওই যুবকের এক সময়ের সহপাঠীরা। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর সেই ছবিগুলি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আট থেকে আশি সবাই ছিল তার টার্গেট। বিষয়টি জানাজানি হতেই একদল মহিলা প্রান্তকে জুতোপেটা করতে করতে স্থানীয় কানাইপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান।
মহিলাদের আপত্তিকর ছবি বানাত
স্থানীয় এক যুবতীর দাবি, 'কয়েক বছর আগে প্রান্ত বাংলাদেশ থেকে এসেছে। সেই সময় থেকে আমরা স্কুলের বন্ধু ছিলাম। দার্জিলিং বেরিয়ে আমরা আজই বাড়ি ফিরেছি। আমার এক বান্ধবীর পশ্চাতদেশের ছবি তুলে ভিডিও বানিয়েছে। ওর সাতটা আটটা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম আইডি। শিশু থেকে বয়স্ক, মহিলাদের আপত্তিকর ছবি AI দিয়ে বানিয়েছে। সেই ছবি কী করেছে এখনও জানি না। ' স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শম্পা চক্রবর্তী বলেন, 'এই ছেলেটার পরিচয় যা পাচ্ছি তাতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। প্রচুর মেয়ের ছবি তুলে এসব করেছে পুলিশ প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিক।'
যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে
এলাকার মহিলারা পুলিশ ফাঁড়িতে জড়ো হন অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অভিযুক্তের ট্যাব, ল্যাপটপ থেকে অনেক আধার কার্ডের ছবি পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সে সব উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই প্রান্তকে জুতোপেটা করতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
রিপোর্টার: রাহি হালদার