
Cannabis Seized Near NJP Station: ট্রেনের বাথরুমে জলের ট্যাংকের কাছে গোপন চেম্বার বানিয়ে গাঁজা পাচারের চেষ্টা। রেল ও আবগারি দফরের যৌথ অভিযানে পর্দা ফাঁস। তবে কারা পাচারে যুক্ত ছিল, তাদের ধরতে পারেনি। তারা সম্ভবত অভিযানকারী টিম দেখে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে আবগারি দপ্তরের অভিযানে বানচাল করা হয় এই পাচার চক্র। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ গাঁজা। আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া গাঁজার ওজন ৪০.৬ কেজি। এর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা।
আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনদিন আগে আবগারি দপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের কাছে খবর আসে ০১৬৬৬ নম্বরের আগরতলাগামী রানি কমলাবতী এক্সপ্রেস ট্রেনে গাঁজা পাচার হচ্ছে। সেই মত গতকাল রাতে আবগারি দপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের একটি টিম শিলিগুড়ির আবগারি দপ্তরের আধিকারিকদের সহযোগিতা নিয়ে ওই ট্রেনে শীতলখুচি এলাকা থেকে তল্লাশি শুরু করে। ট্রেনে তল্লাশি চালানোর সময় ট্রেনটি যখন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের কাছে আসে সেই সময় ওই ট্রেনের S5 নং কোচে বাথরুমে জলের ট্যাংকের কাছে চেম্বার থেকে থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ গাঁজা।
তবে এদিন এই বিপুল পরিমাণ গাঁজাগুলি উদ্ধার করা হলেও ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। সোমবার শিলিগুড়িতে আবগারি দপ্তরের কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমে আবগারি দপ্তরের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের অতিরিক্ত আবগারি কমিশনার কমিশনার সুজিত দাস বলেন, আবগারি দপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের টিমের কাছে খবর আছে ওই ট্রেনে গোপন চেম্বার বানিয়ে গাঁজাগুলি পাচার করা হচ্ছে। সেই মতো আলিপুরদুয়ারের একটি টিম ট্রেনে তল্লাশি চালালেই উদ্ধার হয় এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা। গাজা গুলি নাগাল্যান্ডে তৈরি এবং ত্রিপুরা থেকে সেগুলিকে অন্যত্রে পাচার করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই চক্রে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।