Baguiati Murder: অনলাইন গেম খেলে রাতারাতি ধনী হয় অতনু? দামী বাইকের প্ল্যান ছিল

Baguiati Murder: নিহত ছাত্রের পরিবার জানিয়েছে, গেমের আইডি বিক্রি করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পেয়েছিল বছর ১৬-র অতনু। সেই টাকা দিয়ে নতুন একটি বাইক কেনার ইচ্ছা ছিল। আর সেই বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্রর সঙ্গে আলাপ। এলাকা সূত্রে খবর, সত্যেন্দ্র আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।

Advertisement
অনলাইন গেম খেলে রাতারাতি ধনী হয় অতনু?অতনু দে। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • অনলাইন গেম খেলে রাতারাতি ধনী হয় অতনু?
  • দামী বাইকের প্ল্যান ছিল
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

Baguiati Murder: অনলাইন গেম থেকে আয় হত বিপুল টাকা। সেই টাকা দিয়েই বাইক কেনার প্ল্যান ছিল বাগুইআটির নিহত ছাত্র অতনুর। পুজোর আগেই এই নতুন বাইক কিনতে চেয়েছিল সে। কিন্তু তার জন্য যে ছেলের এই অবস্থা হবে, তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না অতনুর বাবা। তিনি জানান, অতনু প্রচুর গেম খেলত। অনলাইনে পাবজি, ফ্রি ফায়ার, ফিফার মতো গেমগুলি খেলত। পুজোর আগেই সেই সব গেমের আইডি বিক্রি করে দিয়েছিল।

কীভাবে টাকা আয় হয়

নিহত ছাত্রের পরিবার জানিয়েছে, গেমের আইডি বিক্রি করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পেয়েছিল বছর ১৬-র অতনু। সেই টাকা দিয়ে নতুন একটি বাইক কেনার ইচ্ছা ছিল। আর সেই বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্রর সঙ্গে আলাপ। এলাকা সূত্রে খবর, সত্যেন্দ্র আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বাগুইআটির ওই এলাকাতেই এক যুবতীকে বিয়ে করে থাকছিল সে। এলাকায় জামাই নামে পরিচিত ছিল সত্যেন্দ্র। মৃত অতনুর বাড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই রয়েছে সত্যেন্দ্রর শ্বশুরবাড়ি। জানা গিয়েছে, এলাকায় মিষ্টভাষী হিসাবে পরিচিত থাকলেও বিপুল দেনা ছিল সত্যেন্দ্রর। বাইক কেনাবেচার দালালি করত সত্যেন্দ্র। পুরনো বাইক বিক্রি কিংবা সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত) বাইক কেনার দালালি করত সত্যেন্দ্র। অতনুর সঙ্গে সেই সূত্রেই যোগাযোগ হয় সত্যেন্দ্রর।

সত্যেন্দ্রর সঙ্গে কীভাবে আলাপ

জানা গিয়েছে, বাইক কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা সত্যেন্দ্রকে দিয়ে দেয় অতনু। কিন্তু সেই টাকা আর ফেরত পায়নি সে। পরে তা চাওয়া হলে অতনু এবং অভিষেককে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় সত্যেন্দ্র। তার পর থেকে আর ছেলেদের খোঁজ পায়নি অতনু এবং অভিষেকের পরিবার। অতনুর বাবার কথায়, "বাড়িতে একটি বাইক ছিল। কিন্তু ছেলের আরেকটি বাইক কেনার শখ ইচ্ছা ছিল। আমাদের থেকে একটা টাকাও নেয়নি। গেমে খেলেই ওই টাকা নিয়েছিল সে। সেই জমানো টাকা পুরোটাই তুলে দিয়েছিল প্রতিবেশী সত্যেন্দ্রকে।" কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে তা কেউই বুঝতে পারেননি। জোড়া খুনের এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র এখনও অধরা। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement