বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের সাংসদ আনওয়ারুল আজিমকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, এই খুনের জন্য ৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। সৈয়দ আমানুল্লাহ, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলি ওরফে সাজি নামে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মহম্মদ আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন নামের এক ব্যক্তির নাম এসেছে। আনওয়ারুলকে খুনের জন্য মাস খানেক আগেই এর জন্য কলকাতা যাওয়া আসা শুরু করে খুনিরা। মাস খানেকের মধ্যে অন্তত পাঁচজন কলকাতা যাওয়া আসা করে। রাজারহাটে একটি ফ্ল্যাটও ভাড়া নেওয়া হয়। সেই ফ্ল্যাটেই ১৩ মে রাতে খুন করা হয় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ আনওয়ারুলকে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোনা চোরাচালান চক্রের দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে আনওয়ারুলকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিনকে এখনও ধরা যায়নি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। সূত্রের খবর, তিনি নেপালে পালিয়ে গিয়েছেন।
কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাটটি তিনিই ভাড়া করেছিলেন। এই ব্যক্তি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মহম্মদ সহিদুজ্জামানের ছোট ভাই। সন্দ্বীপ রায় নামে এক ব্যক্তি ওই ফ্ল্যাটের প্রকৃত মালিক। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দফতরে কর্মরত। গত ২৫ এপ্রিল ফ্ল্যাট ভাড়ার চুক্তিপত্র সইয়ের পর ৩০ এপ্রিল আক্তারুজ্জামানকে ফ্ল্যাটটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে এই ঘটনার তদন্তে আগেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা সাংসদের খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ এটাও জানতে পেরেছে যে আক্তারুজ্জামান ও আনওয়ারুল আজিমের মধ্যে আগেই পরিচয় ছিল। আক্তারুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে। ঢাকায় গুলশানে আক্তারুজ্জামানের বাড়ি রয়েছে। এছাড়াও তাঁর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব রয়েছে। নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে তাঁর বাসা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কলকাতার ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার সময় আক্তারুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন।