scorecardresearch
 

বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড বরানগরে মাছ ব্যবসায়ী, CID-জালে

ধৃত নূর নবী প্রকাশ ওরফে ম্যাক্সন বাংলাদেশের চিটাগং জেলার চাঁদগাও থানা এলাকার মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় নাম ওঠার পর ওমানে গিয়ে রং মিস্ত্রির কাজ শুরু করে সে। এরপর তার এক সহযোগী গ্রেফতার হওয়ায় ওমান থেকে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করে ম্যাক্সন। সিআইডির দাবি কলকাতায় এসে তমাল চৌধুরী নাম নিয়ে একটি জাল পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড এবং প্যান কার্ড বানায় ম্যাক্সন।

Advertisement
ম্যাক্সন ম্যাক্সন
হাইলাইটস
  • ওমান হয়ে কলকাতায় বাংলাদেশের দুষ্কৃতী
  • মাছ ব্যবসায়ী সেজে বরানগরে বসবাস
  • গ্রেফতার করল সিআইডি-এসওজি

বাংলাদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতী ম্যাক্সন গ্রেফতার কলকাতা থেকে। ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় মোস্ট ওয়ান্টেড ম্যাক্সন গা ঢাকা দিতে ওমান হয়ে কলকাতায় পৌঁছায়। এখানে মাছ বিক্রি শুরু করে সে। নাম বদলে জাল ভারতীয় পরিচয়পত্রও বানিয়ে ফেলেছিল কুখ্যাত এই অপরাধী। তবুও শেষ রক্ষা হল না, সিআইডির অভিযানে পর্দাফাঁস বাংলাদেশের ইসলামি ছাত্রশিবিরের নেতা নূর নবী প্রকাশ ওরফে ম্যাক্সনের। 

এটি মূলত বাংলাদেশের জামাত-এ-ইসলামির ছাত্র সংগঠন বলেই পরিচিত। সিআইডি সূত্রে খবর, বাংলাদেশ এই দুষ্কৃতীর নামে মোট সতেরোটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। তারপর থেকেই  ম্যাক্সনকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল বাংলাদেশের পুলিশ। এমনকি RAB-এর ওয়ান্টেড তালিকাতেও নাম ছিল এই দুষ্কৃতীর। অবশেষে অভিযান চালিয়ে তাকে বরানগর থেকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। 

সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত নূর নবী প্রকাশ ওরফে ম্যাক্সন বাংলাদেশের চিটাগং জেলার চাঁদগাও থানা এলাকার মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় নাম ওঠার পর ওমানে গিয়ে রং মিস্ত্রির কাজ শুরু করে সে। এরপর তার এক সহযোগী গ্রেফতার হওয়ায় ওমান থেকে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করে ম্যাক্সন। সিআইডির দাবি কলকাতায় এসে তমাল চৌধুরী নাম নিয়ে একটি জাল পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড এবং প্যান কার্ড বানায় ম্যাক্সন। মাছ বিক্রির পাশাপাশি এক মহিলার সঙ্গে ঘর ভাড়া নিয়েও থাকছিল সে।  মঙ্গলবার ডানলপের নর্দান পার্ক থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে জাল পাসপোর্ট, আধার কার্ড, প্যান কার্ডসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

ধৃতের বিরুদ্ধে বরানগর থানায় ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্ট ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৭১ ও ১২০-বি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে সিআইডি। পাশাপাশি ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য হাতে পাওয়ার চেষ্টা করছেন সিআইডির গোয়েন্দারা।

Advertisement

আরও পড়ুনদশম পাশেই রেলে চাকরি, আড়াই হাজার শূন্যপদ, কীভাবে আবেদন?

 

Advertisement