বরানগরে এক বাড়ির ৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু। উদ্ধার হল ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত দেহ। বরানগরের নীরঞ্জন সেন নগরের ঘটনা। রবিবার সকালে পাড়ার বাসিন্দারা বন্ধ বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান। সন্দেহ হওয়াতে বরানগর থানার পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। ভিতরের দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন দুঁদে পুলিশ আধিকারিকরাও। দেখা যায় মেঝেতে পড়ে তিনজনের রক্তাক্ত দেহ। গলায়, পিঠে, ঘাড়ে ধারাল অস্ত্রের কোপের দাগ। মেঝে জুড়ে রক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম শঙ্কর হালদার, বাপ্পা হালদার ও বর্ণ হালদার। শঙ্কর হালদারের ছেলে বাপ্পা ও নাতি বর্ণ। বাড়িতে তাঁরা তিনজনই থাকতেন। বাপ্পা হালদারের স্ত্রী বহু বছর আগেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আলাদা থাকেন।
প্রতিবেশীরা বলছেন, তিনজনকেই নিয়মিত রাস্তাঘাটে বের হতে দেখা যায়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে তাঁদের কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। বাড়ির দরজা-জানলাও সব বন্ধ। এরপর শনিবার থেকেই আশেপাশের বাড়ির বাসিন্দারা দুর্গন্ধ পেতে শুরু করেন। দেখা যায় হালদার বাড়ি থেকে এলাকায় গন্ধ ছাড়ছে। রবিবার সকালে গন্ধ চরমে পৌঁছালে সন্দেহ বাড়ে। প্রথমে নিজেরাই বাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করেন। দেখা যায় দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তীব্র কটু গন্ধ। এরপরেই বরানগর থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায় ভয়ানক দৃশ্য। মেঝেতে পড়ে দাদু,বাবা ও নাতির রক্তাক্ত দেহ। মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাপ্পা হালদার তাঁর বাবা ও ছেলেকে বিষ খাইয়ে, কুপিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হতে পারে। আবার বাইরের কোনও আততায়ী এসেও খুন করে থাকতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে পুলিশের খটকা লাগছে একটি জায়গাতেই। বাড়ির দরজা সব ভিতর থেকে বন্ধ। তাহলে চতুর্থ ব্যক্তি ঢোকার ও সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।