scorecardresearch
 

বারুইপুর হত্যাকাণ্ড : করাত দিয়ে বাবার দেহ কাটে রাজু, ফের উদ্ধার দেহাংশ

Baruipur Murder Case Update : দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুন নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড়, ঠিক সেই সময় প্রকাশ্যে আসে বারুইপুরের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। পরীক্ষার ফি দেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধে বাবা উজ্জ্বল চক্রবর্তী ও ছেলের রাজু ওরফে জয় চক্রবর্তীর মধ্যে মধ্যে। বাবার কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ৩ হাজার টাকা চায় ছেলে রাজু। মদ্যপ অবস্থায় ছেলেকে মারধর করেন উজ্জ্বল। পালটা বাবাকে ধাক্কা দেয় রাজুও। সেই ধাক্কায় উজ্জ্বল পড়ে গেলে তাঁর গলা টিপে রাজু। শ্বাসরোধ করেই বাবাকে খুন করে ছেলে। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • বারুইপুর হত্যাকাণ্ড
  • কড়াত দিয়ে কাটা হয় দেহ
  • মা-ছেলের পুলিশ হেফাজত

বারুইপুর হত্যাকাণ্ডে নিহতের আরও একটি দেহাংশ উদ্ধার। রবিবার কোমরের একটি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে দেহের আরও অংশ উদ্ধার এখনও বাকি আছে বলেই জানা যাচ্ছে। এছাড়া যে কড়াত দিয়ে কাটা হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহ, সেটিও এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ়দিকে এই ঘটনায় নিহত উজ্জ্বল চক্রবর্তী স্ত্রী ও ছেলেকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২ ডিসেম্বর ফের আদালতে তোলা হবে তাদের। 

দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুন নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড়, ঠিক সেই সময় প্রকাশ্যে আসে বারুইপুরের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। পরীক্ষার ফি দেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধে বাবা উজ্জ্বল চক্রবর্তী ও ছেলের রাজু ওরফে জয় চক্রবর্তীর মধ্যে মধ্যে। বাবার কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ৩ হাজার টাকা চায় ছেলে রাজু। মদ্যপ অবস্থায় ছেলেকে মারধর করেন উজ্জ্বল। পালটা বাবাকে ধাক্কা দেয় রাজুও। সেই ধাক্কায় উজ্জ্বল পড়ে গেলে তাঁর গলা টিপে রাজু। শ্বাসরোধ করেই বাবাকে খুন করে ছেলে। 

এরপরেই দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করে রাজু ও তার মা শ্যামলী চক্রবর্তী। করাত দিয়ে কেটে ৬ টুকরো করা হয় উজ্জ্বলবাবুর দেহ। তারপর দেহের বিভিন্ন অংশ বস্তাবন্দি করে সাইকেলে চাপিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসা হয়। এরপর ১৫ নভেম্বর ভোরবেলায় থানায় মিসিং ডায়েরি করে মা ও ছেলে। এদিকে এরই মাঝে ১৭ নভেম্বর বারুইপুর থেকে মল্লিকপুর যাওয়ার রাস্তার পাশে একটি পুকুর থেকে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় উদ্ধার হয় উজ্জ্বলবাবুর ঊর্ধাঙ্গ। কোমর থেকে ধড় ও মাথার খোঁজ মেলে। ঘটনায় নিহতের চেনা পরিচিত কেউ জড়িত থাকতে পারে বলেই সন্দেহ হয় পুলিশের। 

এরপরেই উজ্জ্বলবাবুর স্ত্রী ও ছেলেকে লাগাতার জেরা শুরু করে পুলিশ। সেই জেরার মুখেই ভেঙে পড়ে অপরাধ কবুল করে শ্যামলী ও রাজু। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। মা ও ছেলে মিলে যে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না এলাকাবাসীরা। 

Advertisement

আরও পড়ুন - কীভাবে শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব? ঘটনার পুনর্নির্মাণে ফ্ল্যাটে পুলিশ

 

Advertisement