scorecardresearch
 

Bengaluru Murder : ...খুনের পর টুকরো করা হয় মহালক্ষ্মীর দেহ, অভিযুক্তের সুইসাইড নোটে হাড়হিম করা তথ্য

মুক্তিরঞ্জনের দেহের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট মহালক্ষ্মীর খুনের কিনারা করতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগোলে কেন মহালক্ষ্মীকে খুন করা হল বা কে করল তা নিয়ে পুলিশের মনে সন্দেহ ছিল।

Advertisement
bengaluru murder bengaluru murder
হাইলাইটস
  • অভিযুক্ত মুক্তিরঞ্জনের মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট
  • মহালক্ষ্মীকে কীভাবে খুন করা হল তার উল্লেখ ছিল সুইসাইড নোটে

বেঙ্গালুরুতে মহিলা খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে ওড়িশার ভদ্রক থেকে। অভিযুক্ত মুক্তিরঞ্জন রায়ের দেহের কাছ থেকে মিলেছে সুইসাইড নোট। সেই সুইসাইড নোটে লেখা চাঞ্চল্যকর তথ্য। কীভাবে মহালক্ষ্মীকে খুন করা হয়, তার বিবরণ রয়েছে সুইসাইড নোটে। এই মুক্তিরঞ্জনকেই খুঁজছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ। খুনের পরই বেঙ্গালুরু থেকে পালিয়ে আসে অভিযুক্ত। পুলিশের কাছে খবর ছিল, মুক্তিরঞ্জন ওড়িশা বা পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। সেই মোতাবেক পুলিশের বিশেষ দল রওনা দিয়েছিল দুই রাজ্যের উদ্দেশে। তবে বুধবার ভদ্রক থেকে উদ্ধার হয় সন্দেহভাজন খুনির মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছে অভিযুক্ত। 

মুক্তিরঞ্জনের দেহের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট মহালক্ষ্মীর খুনের কিনারা করতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগোলে কেন মহালক্ষ্মীকে খুন করা হল বা কে করল তা নিয়ে পুলিশের মনে সন্দেহ ছিল। সেই রহস্য সুইসাইড নোট থেকে অনেকখানি পরিষ্কার বলে সূত্রের খবর। সুইসাইড নোটে উল্লেখ মহালক্ষ্মীর সঙ্গে তুমুল বচসা হয়েছিল মুক্তিরঞ্জনের। তাতে  মেজাজ হারিয়ে মুক্তি মাথায় আঘাত করে মহালক্ষ্মীর। তাতেই মারা যায় সে। সুইসাইড নোটে উল্লেখ, দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও ছিল। 

ভদ্রকের একটি ঘর থেকে মুক্তিরঞ্জনের ঝুলন্ত দহ উদ্ধার হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাও রুজু হয়েছে। মৃতদেহের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ও সুইসাইড নোট মিলেছে।    

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, মহালক্ষ্মী নামের ওই যুবতীর এক মেয়ে রয়েছে। তবে তিনি স্বামীর থেকে আলাদা থাকতেন। বেঙ্গালুরুর এক ওয়ান বেডরুম ফ্ল্যাট ভাড়ায় নিয়েছিলেন। যেখানে মহালক্ষ্মী কাজ করতেন সেই দোকানের ম্য়ানেজার ছিলেন মুক্তি। কল রেকর্ড থেকে পরিষ্কার দুজন একে অপরের সঙ্গে ঘন ঘন কথা বলতেন। তবে ২ সেপ্টেম্বরের পর থেকে মুক্তিরঞ্জনের ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়। সে কর্মস্থলে যাওয়া ছেড়ে দেয়। তাতেই পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে মুক্তির উপর। 

Advertisement

মহালক্ষ্মীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তা দেখে অবাক তদন্তকারীরা। কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার দেহের ৫৯ টুকরো করা হয়। তবে সেই অস্ত্রের সন্ধান এখনও পাননি তদন্তকারীরা। ওড়িশা ও বেঙ্গালুরু পুলিশ যৌথভাবে খুন ও আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।  

Advertisement