OYO রুমের ভিতরে প্রেমিকাকে খুন যুবকের। ১৭ বার ছুরির কোপ মেরে যুবতীকে খুন করে তাঁরই প্রেমিক। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে দুদিন পরে জানাজানি হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মৃতার নাম হরিণী। ৩৬ বছরের ওই মহিলা বেঙ্গালুরুর কেনগেরির বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল যশসের। পুলিশ জানিয়েছে, যশসই পেশায় ইঞ্জিনিয়র। সেই খুন করে হরিণীকে। পূরণা প্রাজনা এলাকার একটি OYO রুম ভাড়া নিয়েছিলেন দুজনে। সেখানে দুজনের অশান্তি হয়। তারপরই খুন।
স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের এক আধিকারিক জানান, 'সুব্রমহ্মণপুরা থানার অন্তর্গত একটি হোটেল রুমে প্রেমিক ও প্রেমিকা ছিলেন। হরিণী ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাননি। তিনি ব্রেক আপ করতে চেয়েছিলেন। আর তা মেনে নিতে না পেরেই তাঁকে যশস খুন করে।'
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, হরিণীর সঙ্গে যশসের অনেক দিনের সম্পর্ক। ওই যুবতী বিবাহিতা। তাঁর ২ সন্তানও রয়েছে। সব জেনেশুনেই তাঁকে ভালোবাসতেন যুবক। তবে তাঁদের সম্পর্ক জানাজানি হয়ে যাওয়ায় হরিণীর বাড়ি থেকে চাপ আসতে শুরু করে। তখন হরিণী সম্পর্ক ছাড়ার কথা জানান যশসকে। রাগের মাথায় সে প্রেমিকাকে ১৭ বার ছুরির কোপ মারে। সেই ঘরেই মৃত্যু হয় যুবতীর। তবে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে।
বেঙ্গালুরুর অ্যালেকেল এলাকায় আরও একটা হাড়হিম করা ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে স্ত্রী-র গলা কেটে মুণ্ড নিয়ে থানায় যায় স্বামী। অভিযুক্ত শঙ্কর তার স্ত্রী মনসাকে সন্দেহ করত। তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ করতেন। তা নিয়েই অশান্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, একটা বাড়িতে শঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী ভাড়া থাকতেন। গত ৩ তারিখ রাতে কাজে বেরোন শঙ্কর। তাঁর রাতে ফিরে আসার কথা ছিল না। তবে আচমকা চলে আসেন ও দেখেন, মনসা অন্য একজন ছেলের সঙ্গে ঘরে রয়েছে। অভিযোগ, তা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। তখনই মনসাকে খুন করে শঙ্কর। তারপর তার কাটা মুণ্ড দিয়ে থানায় যান।