ছত্তিশগড়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা।নৃশংস হত্যাকাণ্ডে কেঁপে উঠল ছত্তিশগড়ের দুর্গ জেলার ভিলাই শহর। প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে খুন হলেন এক যুবক। বান্ধবীর ভাই ও আত্মীয়দের হাতেই প্রাণ হারাল তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে খুরসিপার থানার মাজিপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ধীরজ সরোজ। স্থানীয়রা তাঁকে ‘বিক্কি’ বলেই চিনতেন। বয়স ২৫ বছর। ঘটনার পর পাঁচ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’জন এখনও পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
কীভাবে ঘটল?
ধীরজের সঙ্গে পাশের বাড়ির এক যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়ের মা তখন বাইরে। ভাই সূর্যও কাজে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন একা মেয়ে। সেই সুযোগেই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায় ধীরজ। মেয়েটি প্রথমে বাধা দেয়। কিন্তু ধীরজ বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে।
ঠিক সেই সময় হঠাৎই বাড়ি ফিরে আসে মেয়ের ভাই সূর্য। সামনে এমন দৃশ্য দেখে রেগে আগুন হয়ে যায় সে। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে ডেকে আনে দুই মামাতো ভাইকে। এরপর শুরু হয় নির্মম মারধর। ঘরের দরজা বন্ধ করে সবাই মিলে ধীরজকে পেটাতে থাকে।
চোখের সামনে ভয়ঙ্কর দৃশ্য! বারবার মাথায় আঘাত পেয়ে ধীরজ ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
মায়ের অভিযোগ
মৃতের মা শোভা সরোজ জানিয়েছেন, “আমার ছেলেকে ফাঁদে ফেলে বাড়িতে ডাকা হয়েছিল। তারপর ওকে মেরে ফেলা হয়েছে।” তিনি দাবি করেন, ধীরজের মৃত্যু পরিকল্পিত খুন। তিনি ছুটে গিয়ে দেখেন, ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
পুলিশের বক্তব্য
ছাওনি সিএসপি হেম প্রকাশ নায়েক জানিয়েছেন, “মাজিপাড়া এলাকায় ধীরজ সরোজের খুন হয়েছে। মোট পাঁচ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিন জন গ্রেফতার হয়েছে, দু’জন পলাতক। ধীরজ বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। সেই সময় মেয়ের ভাই এসে আত্মীয়দের নিয়ে হামলা চালায়। মাথায় গুরুতর চোট লাগায় ধীরজের মৃত্যু হয়।”
পুরো শহর স্তব্ধ
এলাকাজুড়ে এখন চাঞ্চল্য। প্রতিবেশীরা বলছেন, ধীরজ শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। কেউ ভাবতেও পারেনি, এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে তাঁর জীবনের।