Bhopal live-in partner murder: 'চাদরে মুড়ে বেঁধে ফেলে রেখেছি,' নেশার ঘোরে গার্লফ্রেন্ডকে খুনের কথা বলে ফেলল যুবক

ভোপালের এক ব্যক্তি লিভ-ইন পার্টনারকে হত্যা করে দেহ লুকিয়ে রেখেছেন; উত্তেজিত অবস্থায় বন্ধুর কাছে স্বীকারোক্তি

Advertisement
'চাদরে মুড়ে বেঁধে ফেলে রেখেছি,' নেশার ঘোরে গার্লফ্রেন্ডকে খুনের কথা বলে ফেলল যুবকভোপালে লিভ-ইন সঙ্গিনীকে খুন, বন্ধুকে নেশার ঘোরে খুনের কথা বলে ফেলল প্রেমিক।

ভোপালে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তিন বছরের লিভ-ইন সঙ্গিনীকে শ্বাসরোধ করে খুন করল এক যুবক। মৃতদেহ রেখে দিল ভাড়া বাড়িতেই। তবে, পরে মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুকে খুনের কথা বলে ফেলে সে। সোমবার বিকেলে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে মহিলার পচাগলা দেহ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম ঋতিকা সেন। বয়স ২৯। অভিযুক্ত যুবক সচিন রাজপুত, বয়স ৩২। ভোপালের একটি ভাড়া বাড়িতে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে থাকতেন তারা। গত ২৭ জুন রাতে দু’জনের মধ্যে তীব্র অশান্তি শুরু হয়। সেই ঝগড়া এতটাই চরমে পৌঁছয় যে, আচমকাই ঋতিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বসে সচিন।

খুনের পর দেহ বিছানার চাদরে মুড়ে দড়ি দিয়ে বাঁধে সচিন। তারপর রেখে দেয় ঘরের এক কোণে। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে সে। একসঙ্গে মদ্যপানও করে তারা। সেই সময়ই মদের নেশায় সে বন্ধুকে বলে ফেলে যে, সে নিজের প্রেমিকাকে খুন করেছে।

প্রথমে ওই বন্ধু কথাটা হালকাভাবে নেয়। ভেবেছিল, নেশার ঘোরে বাজে বকছে সচিন। পরদিন আবারও যখন সচিন একই কথা বলে, তখন বন্ধুর সন্দেহ হয়। এবার সে আর দেরি না করে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়েই সোমবার সন্ধ্যায় ভাড়া বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তখনই উদ্ধার হয় ঋতিকা সেনের পচাগলা দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সচিন রাজপুতকে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু প্রমাণ বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। কী কারণে এমন ভয়ঙ্কর খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রেমের সম্পর্কে ভাঙন, সন্দেহ কিংবা অন্য কোনও কারণ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, 'সচিন এবং ঋতিকা একসঙ্গেই থাকতেন। খুনের রাতেও তাঁদের মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়। মদ্যপ অবস্থায় নিজের কীর্তির কথা বন্ধুকে বলে ফেলে সে। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।' 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement