নকল সোনার কয়েন কারবারিকে হাতেনাতে ধরল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। ধৃত ৩। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিনিকেতন থানার কোপাইয়ে। ধৃতদের কাছ থেকে ১২৩টি কয়েন উদ্ধার হয়েছে। সোনার কয়েনের লোভ সামলাতে না পেরে বারবার এই প্রতারকদের হাতে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন ভিন জেলার মানুষজনও। বিষয়টিতে সোশ্যাল মিডিয়াসহ অন্যান্য জায়গায় জোর প্রচার চালিয়েছে বীরভূম জেলা পুলিশ প্রশাসন। প্রতারণা করার আগেই তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে তাঁদের অপারেশন পন্ড করে দেয় পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে শান্তিনিকেতন থানা।
রাজমিস্ত্রি সেজে মাটির তলা থেকে মোহর পাওয়ার আষাঢ়ে গল্প শুনিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। ফোন করে, "বাবু, রাজু মিস্ত্রি বলছি, সেই যে আপনার বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করেছিলাম। স্যার, একটা বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে মাটির তলা থেকে বেশ কিছু সোনার মোহর পেয়েছি। সস্তায় দিয়ে দেবো, লিবেন? সরল গ্রাম্য ভাষায় দুর্বৃত্তরা প্রথমে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজনকে লোভের জালে বশবর্তী করে। এরপর, শান্তিনিকেতন ও তৎসংলগ্ন নির্জন এলাকায় ডেকে আনে। এরপর মারধর করে টাকাপয়সা কেড়ে সর্বস্বান্ত করে।"
বেশ কয়েক বছর ধরেই এই নকল সোনার কয়েন কারবারিদের রমরমা চলছে। এ যাবৎ একশোরও বেশি দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়েছে। তারপরেও কোনওভাবেই মূল কুচক্রীদের হদিস পাচ্ছে না পুলিশ। জেলার নানা প্রান্তে পুলিশ সক্রিয় হওয়ায় দুর্বৃত্তদের দাপট অনেকটা কমলেও মাঝে মাঝেই এই প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক কলকাতার ব্যবসায়ীকে তারা সোনার কয়েনের লোভ দেখায়। তাতে বশবর্তী হয়ে তিনি প্রতারক দলের কয়েকজনের সঙ্গে ট্রেনে কোপাইয়ে আসছিলেন। বাকিরা তাদের জন্য কোপাই স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অপেক্ষায় ছিল। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় সাধারণ পোশাকে ওৎ পেতে বসেছিল। তবে পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে তারা পালাতে শুরু করে। এরপর পিছু নিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে সমর্থন হয় পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মোট ১২৩ টি নকল সোনার কয়েন উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের বোলপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।