scorecardresearch
 

Cyber Fraud: নাড্ডার অফিস থেকে ফোন, ফাঁদে পা দিতেই লক্ষাধিক টাকা গায়েব বাংলার BJP বিধায়কের, ধৃত ২

সম্প্রতি লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে সাইবার প্রতারণা। এবার তার শিকার হলেন খোদ বিজেপি বিধায়ক। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার নাম করে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার কাছে ফোন এসেছিল।

Advertisement
Cyber Fraud Cyber Fraud


সম্প্রতি লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে সাইবার প্রতারণা। এবার তার শিকার হলেন খোদ বিজেপি বিধায়ক। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার নাম করে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার কাছে ফোন এসেছিল। রাজস্থানে দলীয় কর্মসূচির জন্য এই টাকা পাঠাতে হবে বলে দাবি করা হয়েছিল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার নামে ফোন করে দাবি করেছিলেন এক যুবক। দিল্লি থেকে ফোন এসেছে দেখে আর দেরি করেননি অশোক কীর্তনীয়া। টাকা দিয়ে ফেলার বেশ কয়েকদিন পর প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন বিধায়ক। তারপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গুজরাতের মোরবি থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বিজেপি বিধায়ককের থেকে  ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে  ওই ২ যুবকের বিরুদ্ধে। 

ঘটনাটা কী?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ মার্চ বিজেপি বিধায়ক অশোক  কীর্তনিয়ার কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে এক যুবক নিজেকে জেপি নড্ডার আপ্ত সহায়ক পরিচয় দিয়ে বলেন, রাজস্থানে দলীয় কর্মসূচির জন্য আড়াই লক্ষ টাকা পাঠাতে হবে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিতও পাঠিয়ে দেন সেই যুবক। দলের সভাপতির কাছ থেকে ফোন এসেছে দেখে আর দেরি করেননি অশোক কীর্তনিয়া। সঙ্গে সঙ্গে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন তিনি। এর পর বিষয়টি বাংলার রাজ্য নেতাদের জানান বিধায়ক। বিধায়ককে জানান হয়, এই ভাবে ফোন করে কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনও নিয়ম নেই দলে। জেপি নড্ডার দফতরে ফোন করে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। গত ১৩ এপ্রিল বনগাঁ সাইবার ক্রাইম বিভাগে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক।

গুজরাতের মোরবি থেকে গ্রেফতার
তদন্তে নেমে প্রায় সাত মাস পর গুজরাতের মোরবি থেকে সোনু সিং ও অর্জুন প্রজাপতি নামে ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একাধিক নথি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। ট্রানজিট রিম্যান্ডে মঙ্গলবার তাদের বনগাঁয় এনে আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তে জানা যাচ্ছে  রাজনৈতিক হেভিওয়েটরা ছিলেন এই প্রতারণা চক্রের টার্গেট। বিজেপির সাংসদ-বিধায়করাই ছিলেন তাদের পছন্দের শিকার। সূত্রের খবর, শুধু এরাজ্যই নয়, দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিজেপি নেতা, বিধায়কদের তথ্য জোগাড় করে তাদের বিভিন্ন পদ্ধতিতে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করত চক্রটি।

আরও পড়ুন

Advertisement

Advertisement