SHOCKING: হার্ট ফেটে বাইরে-লিভার ৪ টুকরো, সাংবাদিক খুনে নৃশংসতার সীমা পার

Mukesh Chandrakar Murder: ছত্তিশগড়ের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকার হত্যা মামলায় বড় ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। SIT টিম এই হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত সুরেশ চন্দ্রকারকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশ একটি SIT দল গঠন করেছিল। দলটি ৫ জানুয়ারি রবিবার গভীর রাতে হায়দরাবাদ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আজতকের সঙ্গে কথা বলার সময় বিজাপুরের এসপি জিতেন্দ্র সিং যাদব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement
হার্ট ফেটে বাইরে-লিভার ৪ টুকরো, সাংবাদিক খুনে নৃশংসতার সীমা পারকেন নৃশংসভাবে খুন হলেন সাংবাদিক মুকেশ?


Mukesh Chandrakar Murder: ছত্তিশগড়ের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকার হত্যা মামলায় বড় ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। SIT টিম এই হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত সুরেশ চন্দ্রকারকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশ একটি  SIT দল গঠন করেছিল। দলটি ৫ জানুয়ারি রবিবার গভীর রাতে হায়দরাবাদ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আজতকের সঙ্গে কথা বলার সময় বিজাপুরের এসপি জিতেন্দ্র সিং যাদব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

SIT টিম ইনচার্জ মায়াঙ্ক গুর্জার বলেছেন যে সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকার হত্যার সঙ্গে জড়িত পলাতক অভিযুক্ত সুরেশ চন্দ্রকারকে গভীর রাতে হায়দরাবাদ থেকে ধরা হয়েছে। সুরেশ চন্দ্রকার ছাড়াও ইতিমধ্যেই এই ঘটনায়তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের নাম রীতেশ চন্দ্রকার, দীনেশ চন্দ্রকার এবং মহেন্দ্র রামটেকে। বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে।

সেপটিক ট্যাঙ্কে মৃতদেহ পাওয়া যায়
 ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের বাসিন্দা মুকেশ চন্দ্রকার ১ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর দুদিন পরে নিখোঁজ মুকেশের দেহ উদ্ধার হয় সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে। আসলে ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকারের বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন মুকেশ চন্দ্রকার। তাই মুকেশ খুনের ঘটনায় সুরেশের জড়িত থাকতে পারে বলেই সন্দেব। মুকেশের ফোনে শেষ অবস্থানটিও  ছিল একটি ঠিকাদার দ্বারা নির্মিত কম্পাউন্ডে।

কেন খুন করলেন ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকার
অভিযুক্ত ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকারের তৈরি রাস্তার দুর্নীতির কথা প্রকাশ করেছিলেন মুকেশ চন্দ্রকার। এই মামলাটিকে সাংবাদিক হত্যার মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পুলিশ তদন্তে জানা গেছে যে ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকার এই হত্যার প্রধান অভিযুক্ত এবং তিনি তার ভাই রীতেশ চন্দ্রকার এবং সুপারভাইজার মহেন্দ্র রামটেকের সঙ্গে ১ জানুয়ারি সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকারকে হত্যা করেছিলেন। সাংবাদিকের মৃতদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

সামনে এসেছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট
ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকারের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বেরিয়ে এসেছে, যা রীতিমত ভয় ধরাচ্ছে। ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকার মুকেশ চন্দ্রকারকে খুন করে একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে পুঁতে দিয়েছিলেন। মুকেশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, লিভার ভেঙে চার টুকরো করা হয়, চারটি পাঁজর ও কলার হাড়ও ভাঙা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া হাতের হাড় ভেঙে দুই টুকরো হয়েছিব। হৃদপিন্ড সম্পূর্ণরূপে ভেঙে গিয়েছিল এবং মাথায় বেশ কয়েকটি আক্রমণ করা হয়েছিল। মুকেশ চন্দ্রকরের মাথায় ১৫টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।  খুনের নৃশংসতা দেখে শিউরে উঠছেন চিকিৎসকরাও। মনে করা হচ্ছে, দুইয়ের অধিক ব্যক্তি  এই খুনের সঙ্গে জড়িত।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement