চিনা গুপ্তচরের ল্যাপটপ ক্র্যাক করল এসটিএফ
ফোনের পর এবার চিনা গুপ্তচর হান জুইয়ের ল্যাপটপ ক্র্যাক করতে পারল এসটিএফ। মান্দারিন ভাষায় পাসওয়ার্ড থাকায় ল্যাপটপ ক্র্যাক করতে প্রায় ২ সপ্তাহের বেশি সময় লাগল।
ল্যাপটপে বেশ কিছু তথ্য, ম্যাপ
ল্যাপটপে ভারতের ভৌগলিক চালচিত্র, ম্যাপ কিছু পাওয়া গিয়েছে। চিনের কিছু ছবিও রয়েছে। এসটিএফ জেরা করে জানতে পেরেছে, হায়দ্রাবাদের এক ব্যবসায়ী প্রশান্তের সঙ্গে হানের যোগাযোগ রয়েছে এ দেশের ৷ সেই ব্যবসায়ীর খোঁজে তদন্তে নামবে তারা।
বাকি ধৃত চিনা গুপ্তচরদের সঙ্গে সম্পর্ক যাচাই
অন্যদিকে, এই চলতি মাসে ১১ জনকে গোটা ভারত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চিনা গুপ্তচর সন্দেহে। তার সঙ্গে হানের লিংক আছে কিনা, তাও জানতে খোঁজখবর শুরু করেছে এসটিএফ।
হান জুনবে
কিছুদিন আগে মালদায় অবৈধভাবে ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করার সময় সীমান্ত চৌকি মালিক সুলতানপুর এলাকা থেকে ওই চিনা নাগরিককে গ্রেফতার করে বিএসএফ। হানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকি মহদীপুরে আনা হয়। সেখানে বিএসএফ ও এনআইএ গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। প্রথমে চিনা ছাড়া কোনও ভাষা জানা নেই বলে দাবি করে হান। পরে অবশ্য চাপে পড়ে ইংরেজি বলতে শুরু করে সে।
জাল নথি দিয়ে সিম পাচার
তার পরই তাকে জেরা করে একাধিক তথ্য মেলে। পরে এসটিএফকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কারণ এসটিএফ আগে থেকেই হানের বিরুদ্ধে ব্লু কর্ণার নোটিশ জারি করেছিল। জানা যায়, জাল নথি ব্যবহার করে সিম কিনে তার চিনে পাচার করত ধৃত। ইতিমধ্যে প্রায় ১৩শো সিম চিনে পাচার করেছে বলে জানা গিয়েছে। তার সহযোগীদের মাধ্যমে সিমগুলো অন্তর্বাসের লুকিয়ে চিনে পাঠাতো সে।
ঘটনার পুনর্নির্মান করায় এসটিএফ
হানের ব্যবসায়িক অংশীদারকে আগেই লখনউ থেকে গ্রেপ্তার করেছিল এসটিএফ। তারপর থেকে হানের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিশ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মালদার মরা ভাগীরথী নদীর উপর দিয়েই গাইড নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল সে। পরে এসটিএফ হানকে নিয়ে গিয়ে কোন পথে ঢুকেছে তার পুনর্নির্মাণ করায়। এর আগেই হানের আইফোনের লক খুলতে সক্ষম হয়েছিল এসটিএফ। তবে ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড চিনা মান্দারিন ভাষায় দেওয়া ছিল বলে তা খুলতে এত দিন সময় লেগে গেল।
আদালতে পেশ
এসটিএফ রিমান্ড শেষ করে শুক্রবারই মালদা আদালতে পেশ করার কথা রয়েছে। মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মিলিখ সুলতানপর দিয়ে প্রবেশ করা চিনা নাগরিক হান জুনওয়েকে।