Delhi Crime: প্রেমের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল প্রেমিকের নাবালক ছেলে। সেই রোষে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রেমিকা, এমটাই অভিযোগ। নৃশংস খুনের ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ২৪ বছর বয়সী ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে।
ওই মহিলার স্বীকারোক্তি, তার সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। অভিযুক্ত পূজা প্রেমিকের নাবালক ছেলেকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর বিছানার বাক্সের মধ্যে দেহ লুকিয়ে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, জিতেন্দরের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন তিনি। পশ্চিম দিল্লির রণহোলার বাসিন্দা ছিলেন। জিতেন্দর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত না হওয়ার কারণে নাবালক ছেলেটিকে দায়ী করেন।
পলাতক পূজাকে ধরতে বেশ কয়েকটি জায়গায় লাগানো প্রায় ৩০০টি সিসিটিভি লাগিয়ে সন্ধান করে। এর পরে পুলিশ পূজা কুমারীকে ধরতে সফল হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিয়মিত তার আস্তানা পরিবর্তন করে পুলিশের চোখে ধুলো দিচ্ছিল, বলে জানিয়েছে অপরাধ দমন শাখা।
দিল্লি পুলিশ ১০ আগস্ট বিএলকে হাসপাতাল থেকে জানতে পারে একটি ছেলের গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, "১০ অগাস্ট, ১১ বছর বয়সী এক নাবালককে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তার মৃতদেহ একটি বিছানার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়। সেই অনুযায়ী, ৩০২ আইপিসি ধারার অধীনে একটি এফআইআর, ইন্দরপুরী থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল।"
সিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা গেছে ব্যক্তি যিনি মৃতের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি একজন মহিলা, নাম পূজা।
পুলিশ আরও উল্লেখ করেছে, পূজা মৃত নাবালকের বাবার সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। কিন্তু জিতেন্দর আগে থেকেই বিবাহিত ছিল। পূজাকে তার প্রথম স্ত্রীর থেকে বিবাহবিচ্ছেদের আশ্বাস দেয়। কিছুদিন পরে, জিতেন্দর বিবাহবিচ্ছেদ করতে অস্বীকার করে। ডিসেম্বর ২০২২ থেকে, জিতেন্দর তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আবার বসবাস শুরু করতে শুরু করেন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়েই পূজা জিতেন্দরের ছেলেকে হত্যা করে বলে অভিযোগ।