বৃষ্টি পড়ছিল। সেই বৃষ্টিতে ভিজে খেলতে চেয়েছিল বছর দশেকের নাবালক। আর সেজন্য ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ছেলেকে খুন করল বাবা। ঘটনা দিল্লির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেই নাবালককে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
শনিবার সকাল। দিল্লির দাদা দেব হাসপাতাল থেকে ফোন আসে স্থানীয় থানায়। হাসপাতাল থেকে পুলিশকে জানানো হয়, একজন নাবালক ছুরিকাহত হয়েছে। সে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন পুলিশকর্মীরা। এসে দেখেন মারা গিয়েছে সেই নাবালক।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সাগরপুর এলাকায় বাড়ি ওই নাবালকের। তার বাবার নাম এ রায়। একটি ভাড়া বাড়িতে চার ছেলে-মেয়ের সঙ্গে থাকত সে। বেশ কয়েক বছর আগে স্ত্রী মারা যায়। সেই থেকেই একাই সন্তানদের দেখভাল করছিল।
সেদিন সকালে কাজে বেরোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল অভিযুক্ত। সেই সময় বৃষ্টি শুরু হয়। চার সন্তানের মধ্যে একজন বৃষ্টিতে ভিজে খেলা করবে বলে বায়না শুরু করে। আর তাতেই মেজাজ হারায় তার বাবা। হাতের কাছে থাকা একটি ছুরি দিয়ে সে আঘাত করে সন্তানকে। পাঁজরে ছুরি ঢুকে যায় তার। ওই অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নাবালককে। সেখানে চিকিৎসাও শুরু হয়। তবে তাকে বাঁচানো যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। ওই নাবালক বৃষ্টিতে খেলার বায়না ধরেছিল। প্রথমে অভিযুক্ত তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুতেই বাবার কথা শুনছিল না ছেলেটি। তখন রাগের মাথায় হাতের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে পাঁজরে আঘাত করে বসে। আর তারপর তাকে নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। সেদিন ঠিক কী হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করা হবে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে মৃতের দিদি জানিয়েছে, তাদের বাবা কোনও দাবি পূরণ করত না। কথায় কথায় ভাই-বোনদের মারধর করত। সেদিন সকালে মদ খেয়ে এই কাণ্ড করেছে।