Delhi Double Murder: দিল্লিতে অন্তঃসত্ত্বাকে কুপিয়ে হত্যা,'খুনি প্রেমিক'কে মারল স্বামী

রাজধানী দিল্লির নবী করিম এলাকায় ধনতেরাসের রাতে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী মহিলাও ছিলেন, অন্যদিকে তাঁর স্বামী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন হামলাকারী , যিনি নিহতের পাক্তন লিভ-ইন পার্টনার ছিলেন।

Advertisement
 দিল্লিতে অন্তঃসত্ত্বাকে কুপিয়ে হত্যা,'খুনি  প্রেমিক'কে মারল স্বামীদিল্লিতে গর্ভবতী মহিলাকে কুপিয়ে খুন লিভ-ইন পার্টনারের

দীপাবলির ঠিক আগে জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে বড় ঘটন।  জোড়া খুনের ঘটনায়  চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দিল্লির নবী করিম এলাকায় এক গর্ভবতী মহিলাকে তার প্রাক্তন লিভ-ইন পার্টনার ছুরি মেরে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ওই মহিলার স্বামী আক্রমণকারীকে ধরে ফেলে এবং তাকে হত্যা করে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে  নিহতরা হলেন আকাশের স্ত্রী শালিনী (২২) এবং আশু ওরফে শৈলেন্দ্র (৩৪)। শালিনী দুই সন্তানের মা ছিলেন।

স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রমণকারীকে হত্যা
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (সেন্ট্রাল) নিধিন ভালসান বলেন, ২৩ বছর বয়সী আকাশ তাঁর স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন। তাঁকে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে এবং তিনি এখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ আধিকারিক  বলেন, 'ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত ১০:১৫ টার দিকে যখন আকাশ এবং শালিনী কুতুব রোডে তাঁর মা শীলার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। আশু হঠাৎ এসে আকাশের উপর ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে।'

পুলিশ জানিয়েছে, আকাশ প্রথমে পালিয়ে যায়, কিন্তু আশু শালিনীর দিকে ঘুরে তাকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে। সেই সময় শালিনী একটি ই-রিকশায় বসে ছিল। ডিসিপি জানান, 'আকাশ তাকে বাঁচাতে দৌড়ে যায় কিন্তু তাঁকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে সে আশুর উপর চেপে তার ছুরি ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। ধস্তাধস্তির সময় আকাশ তাঁকে ছুরিকাঘাত করে।'

জনতার মাঝে জনসম্মুখে ঘটনাটি ঘটে
পুলিশ জানিয়েছে, শালিনীর ভাই রোহিত এবং স্থানীয় কিছু বাসিন্দা তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে চিকিৎসক শালিনী এবং আশুকে মৃত ঘোষণা করেন।  পুলিশ জানিয়েছে, 'তদন্তের সময় জানা গেছে,শালিনী মৃত্যুর সময় গর্ভবতী ছিলেন।' কুতুব রোডের কাছে একটি ব্যস্ত এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এই ঘটনা ঘটে, যা এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

মহিলা স্বামীকে ছেড়ে আশুর সঙ্গে  থাকতে শুরু করে
শালিনীর মায়ের মতে, কয়েক বছর আগে এই দম্পতির মধ্যে টানাপোড়েন ছিল এবং সেই সময় শালিনী আশুর সঙ্গে থাকতে শুরু করে। ডিসিপি জানান,  পরে শালিনী আকাশের কাছে ফিরে যান, এবং দুই সন্তানসহ তাঁর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে, এতে আশু রেগে যায়, এমনকি সে নিজেকে  শালিনীর অনাগত সন্তানের বাবা বলেও দাবি করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, 'আশু নবী করিম থানায় একজন অপরাধী হিসেবে নথিভুক্ত ছিল এবং পূর্বেও তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল। আকাশের বিরুদ্ধে তিনটি ফৌজদারি মামলাও নথিভুক্ত রয়েছে।' শীলার অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ১০৩-১ (হত্যা) এবং ১০৯-১ (হত্যার চেষ্টা) ধারায় মামলা  নথিভুক্ত করা হয়েছে নবী করিম থানায়।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement