দিল্লির ফার্মহাউসে ২০০ কোটি টাকার ড্রাগ বাজেয়াপ্ত, নয়ডার সেলস ম্যানেজার গ্রেফতারদিল্লিতে তিন দিন ধরে চলা বিশেষ অভিযানে এক বড়সড় ড্রাগ চক্রের হদিস পেল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। একটি ফার্মহাউসে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মেথামফেটামিন, যার বাজারমূল্য ২০০ কোটিরও বেশি। আন্তর্জাতিক স্তরে সক্রিয় এই চক্রের পর্দাফাঁসকে সাম্প্রতিক কালের অন্যতম বড় সাফল্য বলেই দাবি করেছে সংস্থা।
NCB সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশে বসে থাকা অপারেটরদের নির্দেশে দিল্লি-এনসিআর এলাকায় সক্রিয় ছিল এই মাদক চক্র। সন্দেহভাজনদের গতিবিধি নজরে রাখতেই বেশ কিছু জায়গায় নজরদারি চালানো হয়। সেই সূত্রেই ধরা পড়ে শেন ওয়্যারিস নামে এক যুবক, যিনি নোয়িডার সেক্টর ৫-এ ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এবং একটি বেসরকারি সংস্থায় সেলস ম্যানেজার ছিলেন। তিনি আমরোহার মঙ্গরৌলি গ্রামের বাসিন্দা।
গ্রেফতারের সময় শেন জানিয়েছিলেন, তাঁর ‘বস’ তাঁকে ফেক সিম ও গোপন মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে বলতেন, যাতে তাঁদের অবস্থান বা যোগাযোগ ট্র্যাক করা না যায়। ২০ নভেম্বর ২০২৫-এ তাঁকে আটক করে এনসিবি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের ভূমিকা স্বীকার করেন এবং নেটওয়ার্কের আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। তাঁর দেখানো পথেই ওঠে আসে এস্থার কিনিমি নামে এক নারীর নাম।
এরপর এনসিবির একটি দল ছত্তরপুর এনক্লেভ ফেজ-২-তে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে ৩২৮.৫৪ কেজি মেথামফেটামিন। নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা এস্থার কিনিমিকেও গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ফ্ল্যাট থেকেও বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারমূল্য ২৬০ কোটিরও বেশি বলে দাবি এনসিবির।
সংস্থা জানিয়েছে, নেটওয়ার্কটি একটি আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেটের অংশ। বিদেশে বসে থাকা অপারেটররা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় থাকা সদস্যদের মাধ্যমে সরবরাহ, লেনদেন ও পরিবহন ব্যবস্থা সামলাত। শেন–এর জবানবন্দির পর নেটওয়ার্কের আর্থিক চ্যানেল, অংশীদার, গুদাম এবং পরিবহন পথ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, আগামী দিনে আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার দুই প্রধান অভিযুক্ত শেন ওয়্যারিস এবং এস্থার কিনিমি।