Viral News: স্বামীকে খুন স্ত্রী ও দেওরের! Chat থেকে ফাঁস ষড়যন্ত্র, দেখুন কী লিখেছিল

স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক-দেওর। পুলিশের দাবি, সুস্মিতা দেব ও তার দেওর রাহুল দেব মিলে পরিকল্পিতভাবে খুন করে করণ দেব নামের এক ব্যক্তিকে। তাদের মোবাইল ফোনের চ্যাট থেকেই ফাঁস হয়েছে এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্র।

Advertisement
স্বামীকে খুন স্ত্রী ও দেওরের! Chat থেকে ফাঁস ষড়যন্ত্র, দেখুন কী লিখেছিলস্বামীকে খুনের ছক স্ত্রী ও দেওরের! মেসেজে ফাঁস চাঞ্চল্যকর ষড়যন্ত্র।
হাইলাইটস
  • স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক-দেওর।
  • সুস্মিতা দেব ও তার দেওর রাহুল দেব মিলে পরিকল্পিতভাবে খুন করে করণ দেব নামের এক ব্যক্তিকে।
  • মোবাইল ফোনের চ্যাট থেকেই ফাঁস হয়েছে এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্র।

স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক-দেওর। পুলিশের দাবি, সুস্মিতা দেব ও তার দেওর রাহুল দেব মিলে পরিকল্পিতভাবে খুন করে করণ দেব নামের এক ব্যক্তিকে। তাদের মোবাইল ফোনের চ্যাট থেকেই ফাঁস হয়েছে এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্র। গত ১৩ জুলাই দিল্লির দ্বারকা এলাকায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় বছর ৩৫-এর করণ দেবের। প্রথমে পরিবারকে জানানো হয়েছিল, তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন। অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। যদিও সুস্মিতা, রাহুল এবং রাহুলের বাবা প্রথম থেকেই ময়নাতদন্তের বিরোধিতা করেন। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের উপর সন্দেহ বাড়ে তদন্তকারীদের।

এরপর করণের ছোট ভাই কুনাল সুস্মিতার ফোনে চাঞ্চল্যকর কিছু চ্যাট খুঁজে পায়। দেখা যায়, সুস্মিতা ও রাহুলের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। সেই চ্যাটে স্পষ্ট খুনের পরিকল্পনা। কীভাবে করণকে মেরে ফেলা হবে, তার রূপরেখা তৈরি করে রেখেছিলেন তাঁরা।

চ্যাটে দেখা যায়, রাহুল সুস্মিতাকে বলেন, 'আরও ওষুধ দাও।'

সুস্মিতা লেখেন, 'ওষুধ খাওয়ার তিন ঘণ্টা হয়ে গেছে। এখনও বমি হচ্ছে না, কিছু হচ্ছে না। মরছেও না। এখন কী করব?'

রাহুল বলেন, 'বিদ্যুতের শক দাও।'

সুস্মিতা জিজ্ঞাসা করেন, 'কীভাবে দড়ি বেঁধে শক দেব?'

রাহুল উত্তর দেন, 'টেপ দিয়ে বেঁধে দাও।'

পরের মেসেজে সুস্মিতা লেখেন, 'ওর শ্বাস খুব স্লো হয়ে গেছে।'

রাহুল বলেন, 'যত ওষুধ আছে সব দিয়ে দাও।'

সুস্মিতা বলেন, 'ওর মুখ খুলছে না। জল ঢালতে পারি। ওষুধ খাওয়াতে পারছি না। তুমি এসে আমাকে সাহায্য করো। একসঙ্গে মিলে খাওয়াই।'

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুই বছর ধরে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সুস্মিতা ও রাহুল। তাঁরা একসঙ্গে থাকতে এবং করণের সম্পত্তির দখল নিতে এই পরিকল্পনা করেন।

বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সুস্মিতা ও রাহুল। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তকারীরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছেন। তদন্ত এখনও চলছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement