দত্তপুকুরে সেই কাটা মুন্ডু এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুকুরে, ডোবায় ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এহেন পরিস্থিতিতে ওই কাটা মুন্ডুটি ও দেহটি কার, তা শনাক্ত করে ফেলল পুলিশ। জানা গিয়েছে, মুন্ডুহীন ওই দেহ হজরত লস্করের। বয়স আনুমানিক ৪০। চুরি, ছিনতাই করত।
কাটা হাতে উল্কি দেখে দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে
গত সোমবার দত্তপুকুরে উদ্ধার হয় একটি মুন্ডুহীন দেহ। হাত কাটা ছিল। তারপর থেকেই মুন্ডুর খোঁজে তল্লাশি চলছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে কাটা হাতে উল্কি দেখে দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। ওই দেহ হজরত লস্কর নামে এক দুষ্কৃতীর। ২ ফেব্রুয়ারি থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, চুরি, ছিনতাই সহ নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হজরত লস্করের নামে থানায় একাধিক অভিযোগও রয়েছে। এমনকী এক সময় মাদক পাচারের ঘটনাতেও গ্রেফতার করা হয়েছিল।
বরানগর, হাওড়া ও হুগলিতে নানা চুরি, ছিনতাইয়ের কাজ
হজরত লস্কর উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার আঙুলকাটা গ্রামের বাসিন্দা। একটি বড় দুষ্কৃতী গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হজরত। মূলত বরানগর, হাওড়া ও হুগলিতে নানা চুরি, ছিনতাইয়ের কাজ করে বেড়াতেন। সেই হজরত সম্প্রতি উত্তরপাড়া থানার এক অফিসারের সহযোগিতায় জীবনের মূলস্রোতে ফিরছিলেন। এবং ইনফর্মার হয়ে গিয়েছিলেন। গ্যাংয়ের একাধিক দষ্কৃতীকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করছিলেন। পুলিশের অনুমান, ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা হজরতকে খুন করেছে। এই ঘটনায় ওয়াহদুল গাজি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমও থাকতে পারে
তবে হজরতের মুন্ডুর খোঁজ এখনও মেলেনি। আবার পুলিশ সূত্রে এটাও অনুমান, এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমও থাকতে পারে। ওয়াহদুল গাজির স্ত্রীকেও আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গাজির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন হজরত লস্কর।আপাতত দেহটির রহস্যভেদ হয়েছে।