মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ২১ বছরের যুবক। শিক্ষা: ক্লাস টেন পাশ। পেশা: নকল নোট তৈরি করা ও বাজারে ছড়ানো। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ২১ বছরের যুবক। নিজের বাড়িতেই নকল নোট তৈরির ‘মিনি ফ্যাক্টরি’ সাজিয়ে ফেলেছিল সে। উদ্ধার হল ২ লক্ষ টাকারও বেশি নকল নোট। পাশাপাশি নোট তৈরির আধুনিক সরঞ্জাম, প্রিন্টার ও বিভিন্ন উপকরণও মিলেছে। অভিযুক্তের নাম বিবেক যাদব।
পুলিশ সূত্রে খবর, পিপলানি থানা এলাকায় ১৪ নভেম্বর রাতে খবর আসে, এক যুবক কালো শার্ট পরে নিঝামুদ্দিন এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। বিভিন্ন জায়গায় সে নকল নোট চালানোর চেষ্টা করেছে বলেও খবর দেন ইনফরমাররা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে পাকড়াও করে। তল্লাশিতে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একের পর এক ৫০০ টাকার নকল নোট বেরিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে তা দেখে আসল নোটই মনে হবে। কিন্তু একটু খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, নোটটা নকল।
তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত যুবক আগে একটি প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করত, ফলে রং, কাগজ, কাটিং, ডিজিটাল প্রিন্ট; সবই ছিল তার নখদর্পণে। ইন্টারনেটে নকল নোট তৈরি সংক্রান্ত ভিডিও দেখে কার্যত ‘ট্রেনিং’ নিয়ে, সে নিজের ঘরে অত্যাধুনিক সেটআপ তৈরি করে। বিশেষ কাগজ অনলাইনে অর্ডার করত, ব্লেড দিয়ে কেটে ওয়াটারমার্ক, কালার টিউনিং, আরবিআই স্ট্রিপ; প্রতিটি ধাপ নিখুঁতভাবে নকল করত, যাতে চোখে দেখে ধরাই না যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, যুবক স্বীকার করেছে যে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার নকল নোট ইতিমধ্যেই বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছে সে। ছোট দোকান ও দূরবর্তী এলাকায় গিয়ে নকল নোট খরচ করে বদলে সংগ্রহ করত আসল টাকা।
অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০০ টাকার ৪২৮টি নকল নোট, যার অঙ্ক ₹২,২৫,৫০০। পাশাপাশি কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্রিন প্লেট, কাগজ, গ্লু, কাটার এবং অন্যান্য উপকরণ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা মনে করছেন, শুধু একজনের পক্ষে এমন পরিমাণ নোট তৈরি সম্ভব নয়। বড় কোনও জালিয়াত চক্র যুক্ত থাকতে পারে, পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ।