Fake IAS Case : পুলিশের হাতে আরও ৩, কসবায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

করোনার টিকা প্রতারণা-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও ৩ ব্যক্তিকে। তাদের বাড়ি কলকাতা এবং বারাসত এলাকায়। পাশাপাশি ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে আরও ৩টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement
Fake IAS Case : কলকাতা ও বারাসত থেকে পুলিশের হাতে আরও ৩টিকা প্রতারণা-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও ৩ ব্যক্তিকে। ছবি: রাজেশ সাহা
হাইলাইটস
  • করোনার টিকা প্রতারণা-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও ৩ ব্যক্তিকে
  • তাদের বাড়ি কলকাতা এবং বারাসত এলাকায়
  • পাশাপাশি ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে আরও ৩টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে

করোনার টিকা প্রতারণা-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও ৩ ব্যক্তিকে। তাদের বাড়ি কলকাতা এবং বারাসত এলাকায়। পাশাপাশি ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে আরও ৩টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ৩ ব্যক্তির মধ্যে দু'জন ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সইয়ের অধিকারী ছিলেন। আর তৃতীয় জন দেবাঞ্জনের সহযোগী। তাদের নাম সুশান্ত দাস, রবিন শিকদার এবং শান্তনু মান্না। 

সুশান্তর বাড়ি বিধাননগরে। রবিন বারাসত এলাকার বাসিন্দা। প্রতারণা চালাতে কলকাকা পুরসভার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরা ওই অ্য়াকাউন্টে সইয়ের অধিকারী। আর শান্তনু মান্না কলকাতার তালতলা এলাকার বাসিন্দা। সে দেবাঞ্জনের সহযোগী বলে জানা গিয়েছে।

কসবা থানায় দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে আরও ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক বেসরকারি সংস্থা তার কর্মীদের টিকা দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল। ওই সংস্থার ১৭২ জন টিকা নিয়েছেন বলে খবর।

এক কনট্রাক্টর অভিযোগ করেছেন, দেবাঞ্জন তার কাছ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। তাঁকে এক স্টেডিয়াম তৈরির বরাত দেবে বলেছিল।

দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে এক ওষুধ সংস্থাও অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা দাবি করেছে, একটি দরপত্র দেবে বলে তাদের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে কলকাতা পুলিশের গোয়ন্দারা তৈরি করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। তদন্তের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

টিকা-প্রতারক দেবাঞ্জন দাস জেনেটিক্স নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। তবে লেখাপড়া শেষ করা হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের কাছে।

পুলিশি জেরায় আরও বেশ কিছু জিনিস জানা গিয়েছে। ইতিমধ্য়ে নিউ মার্কেট থানায় দেবাঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কলকাতা পুর কমিশনারের ওএসডি সেই অভিযোগ করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকি হাউজ থেকে লেখাপড়া করেছে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দাস। জুলজি নিয়ে চারুচন্দ্র কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছে। এরপর ভর্তি হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, জেনেটিক্স নিয়ে পড়ার জন্য।

Advertisement

তবে তা সম্পূর্ণ করা হয়নি। তবে লেখাপড়া ছাড়েনি সে। এরপর ভর্তি হয় বিদ্যাসাগর কলেজে। দূরশিক্ষা মাধ্যমে সেখানে পড়াশোনা করে সে। তারপর যোগ বিনোদন জগতে।

 

POST A COMMENT
Advertisement