Sadhu Arrested: আশ্রমে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর 'শ্লীলতাহানি', বর্ধমানে গ্রেফতার গুরুজি

তরুণীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল কাটোয়ার এক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। বছর খানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মগুরুর ভিডিও দেখে ধর্ম কথায় আকৃষ্ট হন। বাবাজির নম্বর পেয়ে ফোনও করেন তরুণী। এরপর থেকে তাঁকে এক এক জায়গায় আসতে বলতেন বাবাজি। ওঠে শ্লীলতাহানির অভিযোগও। শেষমেশ ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। ঘটনাটি কাটোয়ার পূর্ব বর্ধমানের।

Advertisement
আশ্রমে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর 'শ্লীলতাহানি', বর্ধমানে গ্রেফতার গুরুজিপ্রতীকী ছবি

তরুণীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল কাটোয়ার এক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। বছর খানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মগুরুর ভিডিও দেখে ধর্ম কথায় আকৃষ্ট হন। বাবাজির নম্বর পেয়ে ফোনও করেন তরুণী। এরপর থেকে তাঁকে এক এক জায়গায় আসতে বলতেন বাবাজি। ওঠে শ্লীলতাহানির অভিযোগও। শেষমেশ ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। ঘটনাটি কাটোয়ার পূর্ব বর্ধমানের।

জানা গেছে, ২০২৩ সালে বাবাজি বীরভূমের রাজনগরে তাঁর ভাগবত পাঠের আসরে তরুণীকে আসতে বলেন। গুরুজির কথা মত তরুণী সেই ভাগবত পাঠের আসরে যান। সেখানেই প্রথম বাবাজির সঙ্গে ওই তরুণীর সাক্ষাৎ হয়। সেখানে ছিলেন গুরুজির স্ত্রীও। তাঁর স্ত্রীয়ের কথা অপমানজনক মনে হওয়ায় সেখান থেকে ফিরে আসেন তরুণী। তারপর যোগাযোগ পুরোপুরিভাবে বন্ধও হয়ে যায়। তবে পিছু ছাড়েননি গুরুজি। তাঁকে একাধিকবার ফোন করে উত্যক্ত করতে থাকেন। তাঁর আশ্রমে আজীবন রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। এই প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দেন তরুণী। এরপর দীক্ষাও নেন। ২০২৩ সালের জুন মাসে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এলাকায় ধর্মীয় পাঠের আসরে তরুণীকে দীক্ষা দান করেন। 

এরপর চলতি বছরের মার্চ মাসে মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে ডেকে নিয়ে গিয়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এই একবার নয়, এরপর নন্দীগ্রামেও ওই বাবাজি ফের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এরপরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন তরুণী। এরপর অবসাদে ভুগতে থাকেন। পরে ওই গুরুজির বিরুদ্ধে মঙ্গলকোর্ট থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন তরুণী। গুরুজির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ করেছেন।

ওই তরুণী কাটোয়া আদালতে গোপন জবানবন্দিও দেন। দীর্ঘ সময় আত্মগোপন করার পরে নিজে থেকে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন গুরুজি। আগাম জামিনের জন্য কলকাতার উচ্চ আদালতে তিনি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর আবেদন নাকচ হয়ে যায়। পরে কাটোয়া আদলত তাঁকে ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement