Mysterious Death in Liluah: দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়ি, পুকুরপারে গাছে ঝুলছেন গৃহকর্তা, লিলুয়ায় যা ঘটল...

লিলুয়া থানার অন্তর্গত তাঁতিপাড়ায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা চললেও ততক্ষণে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি।

Advertisement
দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়ি, পুকুরপারে গাছে ঝুলছেন গৃহকর্তা, লিলুয়ায় যা ঘটল...লিলুয়ায় রহস্যমৃত্য।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • লিলুয়া থানার অন্তর্গত তাঁতিপাড়ায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি বাড়ি।
  • স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা চললেও ততক্ষণে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি।

লিলুয়া থানার অন্তর্গত তাঁতিপাড়ায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা চললেও ততক্ষণে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি। তবে চাঞ্চল্যকর ঘটনা, বাড়ির মালিক অরুণ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে পাশের একটি গাছ থেকে। এই ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাড়ি
বৃহস্পতিবার রাত গভীরে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। শব্দ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা দেখেন, অরুণ রায়ের বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। স্থানীয়রা জলাশয় থেকে বালতি করে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তাঁরা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন। পরে দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে বাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার গৃহকর্তা
প্রথমে সকলের ধারণা ছিল, অরুণবাবু বাড়ির ভেতরেই রয়েছেন। তবে কিছুক্ষণ পর পাশের জলাশয়ের ধারে একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জগদীশপুর ফাঁড়ির পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

প্রাথমিক অনুমান ও পুলিশের তদন্ত
প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই আগুন লাগে। তবে অরুণবাবুর ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধারের পর রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা—তা নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গৃহকর্তা কি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো চক্রান্ত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অনুপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অরুণবাবুর স্ত্রী ও সন্তান ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন। ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। এখন পুলিশ অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং অরুণবাবুর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চালাচ্ছে। এলাকার মানুষ ঘটনার প্রকৃত সত্য জানতে উদ্গ্রীব।

Advertisement


 

POST A COMMENT
Advertisement