হলদওয়ানি থেকে এক চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। সুপরিচিত ব্যবসায়ী অঙ্কিত চৌহান হত্যা মামলার তদন্তের পরে, পুলিশ প্রকাশ করেছে যে তার প্রেমিকাই এই খুনের পরিকল্পনা করেছে এবং প্রেমিককে সাপের কামড়ে হত্যা করেছে।
গত ১৫ জুলাই একটি গাড়ির ভেতর থেকে সন্দেহজনক অবস্থায় একটি অজ্ঞাত পরিচয় দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তের পরে, মৃতদেহটি হলদওয়ানির ব্যবসায়ী অঙ্কিত চৌহানের বলে সনাক্ত করা হয়েছিল। মঙ্গলবার অঙ্কিত চৌহান হত্যা মামলার তদন্তকারী পুলিশ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। নৈনিতালের এসএসপি পঙ্কজ ভাট জানিয়েছেন, রাজ্যে এই প্রথম এমন খুনের ঘটনা ঘটেছে যাতে সাপের কামড়ে কাউকে হত্যা করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এক নারীসহ পাঁচজন জড়িত। ওই মহিলার নাম ডলি ওরফে মাহি, যিনি পুরো হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অঙ্কিতের পায়ে সাপ কামড়ায়, এভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এতে একজন সাপুরেকেও ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সাপ নিয়ে এসেছিল। অঙ্কিতের পা সাপে কামড়ায়। পরে সে মারা যায়। ওই সাপুরে রামনাথকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হলদওয়ানির রামপুর রোডে গাড়ির ভিতরে অঙ্কিত চৌহানের দেহ পাওয়া যাওয়ার পরে, ১৭ জুলাই পরিবার কোতোয়ালিতে একটি মামলা দায়ের করে। বর্তমানে এই মামলায় মাহিসহ চারজন পলাতক রয়েছে যাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। অন্যদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এসএসপি পঙ্কজ ভাট জানিয়েছেন, মাহির সঙ্গে মৃত অঙ্কিত চৌহানের সম্পর্ক ছিল এবং মাহি দীর্ঘদিন ধরে অঙ্কিতকে ব্ল্যাকমেল করে মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছিস। মাহি পরে অঙ্কিতের কাছ থেকে মুক্তি পেতে চাইলেও অঙ্কিত প্রতিনিয়ত মাহির সঙ্গে দেখা করছিলেন। এমতাবস্থায় মাহি অঙ্কিতকে আড়াল করার পরিকল্পনা করেন এবং পরে তাকে সাপের কামড়ে হত্যা করেন।
অঙ্কিত হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত মাহি ওরফে ডলি। বলা হচ্ছে, মাহির সঙ্গে অঙ্কিতের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। অঙ্কিতের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে। এখন মাহি অঙ্কিতের হাত থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিলেন, তাই তিনি একজন সাপুরের সাহায্য নেন। ঘটনার রাতে ৪ ঘণ্টা তার বাড়িতেই ছিলেন অঙ্কিত। এ সময় মাহি সাপুরেকে ডাকেন। অঙ্কিতকে একটি সাপে কামড়েছিল, যার জন্য অঙ্কিত কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন। এমতাবস্থায় আবারও অপর পায়ে সাপের কামড় খান তিনি। এর পরেই মৃত্যু হয় অঙ্কিতের।