Hanskhali Rape and Murder Case: হাঁসখালি মনে আছে? নাবালিকা গণধর্ষণ ও খুনে TMC নেতার ছেলে সহ ৩ জনের আমৃত্য কারাদণ্ড

২০২২ সালে নদিয়ার রানাঘাটে হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতার ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য তার দেহ দাহ করে দেওয়া হয় তড়িঘড়ি। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য।

Advertisement
হাঁসখালি মনে আছে? নাবালিকা গণধর্ষণ ও খুনে TMC নেতার ছেলে সহ ৩ জনের আমৃত্য কারাদণ্ডহাঁসখালি গণধর্ষণ ও খুন মামলা
হাইলাইটস
  • হাঁসখালি গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে এরা দোষী
  • তৃণমূল নেতার ছেলের জন্মদিনে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন
  • পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ

হাঁসখালি গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় ৩ দোষীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবারই এই মামলায় ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল রানাঘাট মহকুমা আদালত। আজ অর্থাত্‍ মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করা হল। তৃণমূল নেতার পুত্র-সহ ৩ তিন জনকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দিল আদালত। 

হাঁসখালি গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে এরা দোষী

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, সোহেল গোয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৩৪ (যৌথ অপরাধ), ২০১ (প্রমাণ লোপাট), ৫০৬ (ভয় দেখানো), ৩০৪(২) এবং ৩৭৬ডিএ ধারায় দোষ প্রমাণিত হয়েছে। সুরজিৎ রায় ও আকাশ বাড়ৈয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও ভয় দেখানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সমরেন্দ্র গোয়ালি, দীপ্ত গোয়ালি ও পীযূষ কান্তি ভক্তকে প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অংশুমান বাগচীর বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে দোষ প্রমাণিত হয়েছে।

তৃণমূল নেতার ছেলের জন্মদিনে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন

২০২২ সালে নদিয়ার রানাঘাটে হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতার ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য তার দেহ দাহ করে দেওয়া হয় তড়িঘড়ি। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য। গোটা দেশ নিন্দায় সরব হয়েছিল। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তদন্দে জানা যায়, মৃত্যুর পর কোনও পোস্টমর্টেম ছাড়াই তড়িঘড়ি দেহ দাহ করা হয়। পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছিল।

পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ

২০২২ সালে ৫ এপ্রিলের ঘটনা। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গোয়ালির ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রিত নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। পঞ্চায়েত সদস্যের পুত্র এবং তাঁর কয়েক জন বন্ধু মিলে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল সেই নাবালিকাকে। প্রচুর রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। দেহ দাহ করে দেওয়া হয় দ্রুত। ঘটনায় নাবালিকার পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই তাঁদের হুমকি দেওয়া শুরু হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের ভার দেয় সিবিআই-এর উপরে। নাবালিকার মা-বাবাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।  সেই ঘটনায় অবশেষে বিচার পেলেন নাবালিকার মা-বাবা।

Advertisement


POST A COMMENT
Advertisement