মায়ের পচাগলা দেহ আগলে রেখেছিল ছেলে, পুলিশ দেহ নিয়ে যাওয়ার পরে রাতেই মৃত্যু ছেলের। রবিবার সন্ধেয় হাওড়ার বালিটিকুরি খালধারপাড়ার জেলেপাড়ার একটি বাড়ি থেকে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। ওই একই ঘরে থাকতেন তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে। পুলিশের ধারণা, মা রাসমণি নন্দী (৬৫) মারা যাওয়ার পর ছেলে সুরজ নন্দী মায়ের দেহ আগলে রেখেছিল। ওই দিন সন্ধেয় আশপাশের লোকজন দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বৃদ্ধার দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। মায়ের পচাগলা দেহ নিয়ে যাওয়ার পরে ছেলে সুরজ নন্দী বাড়িতেই ছিলেন। তিনি রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুরজ নন্দীকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। রিপোর্ট এলে জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।
তাঁদের এক প্রতিবেশী সঞ্জিত কর্মী জানান, "দু'তিনদিন খুব গন্ধ বেরোচ্ছিল। তাই আশেপাশের লোকেরা ফোন করে। নিয়ে যাওয়া হয়। ওদের বাড়িতে কেউ যাতায়ত করত না। ছেলে মানসিকভারসাম্যহীন ছিল। মায়ের দেহ নিয়ে যাওয়ার পর ছেলে ঘরে শুয়েই ছিল। এরপর রাতে দেখা যায় ছেলেটিও মারা যায়।" ঠিক কী কারণে মৃত্যু তদন্ত করছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মা ও ছেলেকে বেশকিছু দিন ধরে দেখা যায়নি। এর মধ্যেই কোনও দিন অসুস্থতার কারণেই হয়তো ওই মহিলা মারা গিয়েছেন। এই কথাই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।