পনেরো দিন আগে বিহারের সমস্তিপুর জেলায় এক নাবালিকা মেয়ের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। শনাক্ত হওয়ার পর তার মা এফআইআর দায়ের করেন। এই হত্যাকাণ্ডে পুলিশি তদন্ত যতই এগিয়েছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই পর্বে, পুলিশ যখন তার কলের বিবরণ পায়, তখন একটি চমকপ্রদ সত্য প্রকাশ পায়।
প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি উজিয়ারপুর থানা এলাকার নাজিরপুর বাবুপোখরের কাছে একটি মেয়ের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তিনি ঘাটো আউটপোস্ট এলাকার একটি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। মেয়ের মৃত্যুর পর তার মা উজিয়ারপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন।
এরপরই তদন্ত শুরু করে উজিয়ারপুর ও ঘাটো থানার পুলিশ। মেয়েটির মোবাইলের কল ডিটেইল পেয়েছে পুলিশ। এ সময় একটি নম্বর নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। এই নম্বরটি ছিল সুলতানপুর ঘাটোর বাসিন্দা রামকান্ত মেহতার ছেলে রাজকুমার মেহতার।
এ ঘটনায় রাজকুমার মেহতা ও তার স্ত্রী সঞ্জু দেবীকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজনেই পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু, কঠোর জিজ্ঞাসাবাদে, রাজকুমার প্রকাশ করেন যে মৃতের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। একদিন তার স্ত্রী দুজনকেই আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন।
তিনি আরও বলেন, ওই দিন থেকে স্ত্রীকে চাপ দিতে মেয়েকে মেরে ফেলবে, না হলে মেরে ফেলব। স্ত্রীর চাপে এগ রোলে বিষ মিশিয়ে মেয়েকে খাওয়ান তিনি। এটাই ছিল তার মৃত্যুর কারণ। হত্যার পর স্বামী-স্ত্রী মিলে লাশ কম্বলে মুড়িয়ে গাড়িতে রেখে উজিয়ারপুর থানা এলাকার বাবুপোখরের কাছে ফেলে দেয়। এ স্বীকারোক্তির পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ দুই আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।