প্রেমিককে ভাই বলে পরিচয় দিত স্ত্রী। কখনও বাগানে, কখনও বন্ধ ঘরে একে অপরের সঙ্গে দেখা করত তাঁরা। আর তা জানতে পারেন স্বামী। আর তাতেই বিপত্তি। তিনি দুজনকে অবৈধ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ জানান। কিন্তু সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা তো দূর কথা, পাল্টা হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তারপরই অপমানে আত্মহত্যা করেন স্বামী।
ঘটনা মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের। লাসুদিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ খবর পেয়ে মামলার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছে। আর সেখান থেকেই পাওয়া গেছে বিস্ফোরক তথ্য। মৃত ব্যক্তির নাম হিতেশ পাল।
সুইসাইড নোটে হিতেশ লিখে গেছেন, 'আমার স্ত্রী নীতু পালের সঙ্গে কৃষ্ণ রাঠোরের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এর আগে দুজনকে হাতে-নাতে ধরেছিলাম।'
আরও পড়ুন : Fixed Deposit Interest Rate : ৩১ মার্চের মধ্যে ৭০০ দিনের ফিক্সড ডিপোজিট করলেই মালামাল, মিলবে প্রচুর সুদ
হিতেশ সুইসাইড নোটে আরও লিখে গেছেন, স্ত্রী নীতু তাঁকে জানিয়েছিলেন, কৃষ্ণ তাঁর ভাই। সেজন্য তিনি প্রথ প্রথম সন্দেহ করেননি। তবে যত দিন যায় তত বিষয়টা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হতে থাকে তাঁর কাছে।
হিতেশ লিখে গেছেন, 'আর একজন মহিলাও এর সঙ্গে যুক্ত আছে। তাঁর নাম রানি উদাসী। আমি গত কয়েকদিন ধরে নীতু ও কৃষ্ণার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পর্যবেক্ষণ করছিলাম। সেই চ্যাট থেকেই জানতে পারি কৃষ্ণ তাকে দামী দামী উপহার দিত।'
হিতেশের দাবি, তাঁর স্ত্রী তাঁকে জানিয়েছিল, কৃষ্ণ তাঁর ভাই। সেজন্য কৃষ্ণ তাঁকে উপহারও দেয়। এমনকী নীতু কৃষ্ণকে একটি গাড়িও উপহার দেয়।
আরও পড়ুন : এবার চাকরি খোয়াচ্ছেন নবম-দশমের ৬১৮ শিক্ষক, নামের তালিকা প্রকাশ
হিতেশ লিখে গেছেন, 'নীতু, কৃষ্ণা ও রানি একসঙ্গে বাড়িতে তন্ত্র-মন্ত্র করতেন। গত ১ বছর থেকে স্লো পয়জন দিচ্ছিলেন। এই কারণে আমি অলস হতে শুরু করি। আমার সারা শরীর কালো হয়ে যায়। ময়নাতদন্তে সব জানা যাবে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে তাদের চ্যাটের তদন্ত করে শাস্তির জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আমার মৃত্যুর জন্য এই তিনজন দায়ী।'
তদন্তকারী আধিকারিক বিএস কুমরাওয়াত জানিয়েছেন, আত্মহত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃতের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কথা সামনে এসেছে। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।