
Insurance Scam: হাপুড় জেলার গড় মুক্তেশ্বরের ব্রজঘাট গঙ্গা ঘাটে মঙ্গলবার সকালে প্রকাশ্যে ধরা পড়ল চমকে দেওয়া এক বিমা জালিয়াতির চেষ্টা। চার যুবক প্লাস্টিকের পুতুলকে শব সাজিয়ে তার দাহ কাজ করতে আসে। স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় দু’জনকে ধরে ফেলে জনতা, বাকিরা পালায়। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে ৫০ লক্ষ টাকার বিমা প্রতারণার বড় র্যাকেট।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশাল কুমার জানান, চার যুবক একটি আই-২০ গাড়িতে আসে। তারা ‘শব’ আনার ভান করে তড়িঘড়ি কাঠ সাজিয়ে দাহসজ্জা শুরু করে। তাদের সন্দেহজনক তৎপরতা দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে দেখা যায়, কফনের নিচে মানুষ নয়, প্লাস্টিকের পুতুল। মুহূর্তে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। দু’জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে তারা অজুহাত দেয়, হাসপাতাল নাকি ভুল করে নকল দেহ দিয়েছে। পরে ভেঙে পড়ে সত্য স্বীকার করে তারা।
তদন্তে জানা যায়, এই প্রতারণার মূল হোতা দিল্লির কৈলাসপুরী এলাকার কমল সোমানি। তার সঙ্গে যুক্ত ছিল বন্ধু আশীষ খুরানাও। ৫০ লক্ষ টাকার বিশাল ঋণে ডুবে থাকা কমল দোকানের প্রাক্তন কর্মচারী অংশুল কুমারের আধার ও প্যান কার্ড চুরি করে তার নামে ৫০ লক্ষ টাকার বিমা করায় এবং নিয়মিত প্রিমিয়ামও দেয়, যাতে কেউ সন্দেহ না করে। এরপর প্লাস্টিকের পুতুল দিয়ে ভুয়ো মৃত্যুর নাটক সাজিয়ে বিমার টাকা তোলার পরিকল্পনা করে।
অংশুল কুমারকে সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়, সে বিমা বা এই প্রতারণার কোনও খবরই জানত না। শ্মশান কর্মী নীতিন জানান, চার যুবক ঘি-কাঠ কিনে তড়িঘড়ি চিতা সাজায়। আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসতেই দু’জন পালিয়ে যায়। গাড়ি থেকে আরও দুটি পুতুল উদ্ধার হয়, যা বড়সড় র্যাকেটের ইঙ্গিত দেয়। পুলিশ কমল সোমানি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা করেছে এবং বাকি দু’জনকে খুঁজছে। তদন্ত চলছে।