আরও একটি ফাঁসির সাজা বাংলায়। জয়নগর, গুড়াপের পর এবার জলপাইগুড়ি। ঘটনা ঘটার দু'বছরের মধ্যে ফাঁসির সাজা শোনানো হল দোষীকে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে স্ত্রী ও ১৮ মাসের শিশুকন্যাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাতেই ফাঁসির সাজা শোনাল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ তদন্ত করে। তারপরই দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়।
দোষী নাগরাকাটার লুকসান চা বাগানের বাসিন্দা লাল সিং ওরাওঁ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে স্ত্রী ও কন্যাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ওই ব্যক্তি। এরপর আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। তবে সে সময় প্রাণে বেঁচে যায়। ঘটনায় তাকে পাকড়াও করা হলে বাড়িতে ডাকাত ঢুকে তার স্ত্রী ও কন্যাকে খুন করা হয় বলে বয়ান দিয়েছিল লাল সিং। তবে বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় তদন্তকারী অফিসারের মনে সন্দেহ তৈরি হয়। তারপরই লালকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়।
এরপর ২০২৪-এর ১৮ ডিসেম্বর চার্জ গঠন করা হয়। কুপিয়ে খুনের ঘটনায় মোট ১৩ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়। সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে লাল সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আজ লাল সিংয়ের অপরাধ অনুযায়ী তাঁকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের থার্ড কোর্টের বিচারক বিপ্লব রায়।
প্রসঙ্গত, গত ৪ অক্টোবর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে চতুর্থ শ্রেণির নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ৬৪ দিনের মাথায় মোস্তাকিন আলমের সাজা ঘোষণা করে বারুইপুর আদালত। যদিও তারপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুস্তাকিন। মৃত্যুদণ্ড রদের বিষয়ে আবেদন জানানো হয়। সেই মামলা গ্রহণ করে ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি বছর গুড়াপের পাঁচ বছরের সেই শিশুকে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় ৫৫ দিনের মাথায় দোষীকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল চুঁচুড়া পকসো আদালত।