scorecardresearch
 

Shocking: লিভ-ইন পার্টনারকে ৫০ টুকরো করেছে, এই ছেলেটির মাংসের দোকান আছে

কসাইয়ের দোকানে কাজ। মুরগী কাটায় পারদর্শী। এমনটাই বলছে পুলিশ। আর সেই 'অভিজ্ঞতা'কে কাজে লাগিয়েই প্রেমিকার দেহ ৫০ খণ্ড করেছিল যুবক। ঝাড়খণ্ডের ঘটনা রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো।

Advertisement
কুকুরের কারণেই ধরা পড়ল খুনি, জানুন কীভাবে... কুকুরের কারণেই ধরা পড়ল খুনি, জানুন কীভাবে...

কসাইয়ের দোকানে কাজ। মুরগী কাটায় পারদর্শী। এমনটাই বলছে পুলিশ। আর সেই 'অভিজ্ঞতা'কে কাজে লাগিয়েই প্রেমিকার দেহ ৫০ খণ্ড করেছিল যুবক। ঝাড়খণ্ডের ঘটনা রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো।

অভিযুক্ত নরেশ ভেংড়াকে যতই জেরা করা হচ্ছে, ততই চমকে উঠছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, সেই অনুযায়ী, প্রথমে লিভ-ইন গার্লফ্রেন্ডকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। তারপর দেহ ৫০  টুকরো করে জঙ্গলেই ফেলে আসে।

এর প্রায় ১৫ দিন পর... ২৪ নভেম্বর। জোড়দাগ গ্রামের কিছু মানুষ দেখেন, মুখে মানুষের হাত নিয়ে ঘুরছে একটি নেড়ি কুকুর। স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে বেশি সময় লাগেনি। দ্রুত পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের সমস্ত জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করে। ধীরে ধীরে মানুষের দেহের একাধিক টুকরো উদ্ধার হতে শুরু করে। এরপরেই পুলিশ খুনের কিনারা করতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে নামে। দু

তামিলনাড়ুতে লিভ-ইন রিলেশন

নরেশ ভেংরা গত কয়েক বছর ধরে তামিলনাড়ুর খুন্তি জেলার ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে লিভ-ইন করছিল। সম্প্রতি হঠাৎ ঝাড়খণ্ডের বাড়িতে ফিরে আসে নরেশ। গার্লফ্রেন্ডকে কিছু না জানিয়েই অন্য মহিলাকে বিয়ে করে। এরপর তিনি স্ত্রীকে ঝাড়খন্ডে রেখে তামিলনাড়ু ফিরে আসে। আগের মতোই বান্ধবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করে। কিছুই টের পেতে দেয়নি।

আরও পড়ুন

গত ৮ নভেম্বর খুন  

গত ৮ নভেম্বর গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে সে খুন্তিতে আসে। মিথ্যা কথা বলে, কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়৷ শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর কেটে টুকরো টুকরো করে হত্যা করে।

অভিযুক্ত কসাইয়ের দোকানে কাজ করত

তদন্তকারী ইন্সপেক্টর অশোক সিং জানালেন, 'অভিযুক্ত তামিলনাড়ুর একটি কসাইয়ের দোকানে কাজ করত। মুরগি কাটাতে পারদর্শী ছিল। জেরায় স্বীকার করেছে যে, মহিলার শরীরের অংশগুলি ৪০ থেকে ৫০ টুকরো করে কেটেছিল। তারপরে বন্য প্রাণীদের খাওয়ার জন্য বনে ফেলে রেখে এসেছিল।' 

সেই প্ল্যান সফলও হয়েছিল। ১৫ দিন ধরে বডির হদিশ পায়নি কেউ-ই। কিন্তু ধরিয়ে দিল নেড়ি কুকুর। কুকুরের মুখে মানুষের হাত দেখেই পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।

Advertisement

খুনের আগে সঙ্গীকে ধর্ষণ 

জানা গিয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর গার্লফ্রেন্ডকে সঙ্গে নিয়ে রাঁচি এসেছিল অভিযুক্ত। আগে থেকেই পুরোটা প্ল্যান করা ছিল। গার্লফ্রেন্ডকে অটোরিকশায় করে তার বাড়ির কাছে খুন্তিতে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে অপেক্ষা করতে বলে। এরপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ফিরে আসে। ধর্ষণের পর তার ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর দেহ ৪০ থেকে ৫০ টুকরো করে। জঙ্গলে সেই টুকরো ফেলে আসে। এরপর নির্লিপ্তভাবে নিজের বাড়ি ফিরে যায়। বাড়ির কেউ-ও, এমনকি তাঁর নববিবাহিত স্ত্রীও কিছুই টের পাননি।

নিহতের মা দেহ শনাক্ত করেন

এদিকে রাঁচি আসছেন, সেকথা মা-কে জানিয়েছিলেন তরুণী। বয়ফ্রেন্ড নরেশের সঙ্গেই যে আসছেন, সেকথাও জানিয়েছিলেন মা-কে। তদন্তে নেমে পুলিশ মহিলার মাকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনে। মহিলার মা এসেই বয়ফ্রেন্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এরপরেই নরেশকে খুঁজে বের করে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় নিজের মুখে খুনের ঘটনা স্বীকার করে নেয় নরেশ। 

শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ছায়া

এর আগে ২০২২ সালে, দিল্লির মেহরাউলিতে এই একই ধরনের একটি ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই কেসে প্রেমিক তাঁর লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপরে তাঁর দেহ টুকরো-টুকরো করে ফেলে। ঝাড়খণ্ডের ঘটনায় সেই শ্রদ্ধা-কাণ্ডেরই ছায়া পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

TAGS:
Advertisement