সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার ভারতীয় গৃহবধূর দেহ। তাঁর দেহের পাশ থেকে সন্তানের মরদেহও উদ্ধার হয়েছে। তাঁর নাম বিপঞ্চিকা মনিয়ান। কেরলের বাসিন্দা তিনি। সেখানে কুন্দ্রা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার মা।
শারজার আল নাহদায় থাকতেন বিপঞ্চিকা মনিয়ান। গত ৮ জুলাই সেখানেই তাঁর ও দেড় বছরের কন্যা সন্তান বৈভবীর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, মেয়েকে খুনের পর আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিপঞ্চিকার স্বামী নিধেশ এই মৃত্যুর জন্য দায়ি। সে, তার বোন ও বাবা মিলে পণের জন্য অত্যাচার চালাত বিপঞ্চিকার উপর। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত।
মৃতার মা জানিয়েছেন, পণে যথেষ্ট টাকা পয়সা দেওয়া হয়েছিল। তবে তাতে সন্তষ্ট ছিল না তাঁর জামাই। সেজন্য বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে মারধর করত। এমনকী জোর করে বিপঞ্চিকার চুলও কেটে ফেলা হয়েছিল। যাতে তিনি লজ্জায় বাইরে বেরোতে না পারেন।
২০২০ সালে বিপঞ্চিকা এবং নিধেশের বিয়ে হয়। তারপর শারজায় চলে যান। সেখানেই বসবাস করছিলেন। পণের জন্য চাপ দিয়েও যখন কাজ হয়নি তখন নিধেশ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে আরও বাড়তে থাকে অত্যাচার।
এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ বিপঞ্চিকার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সেখানে অত্যাচারের বর্ণনা করেছেন সেই মহিলা। নোটে তিনি উল্লেখ করেছেন, শ্বশুর তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। নিধিশকে গোটা বিষয় জানানোর পরও সে কোনও পদক্ষেপ করেনি।