আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষিত হয়ে খুন হওয়া তরুণী ডাক্তারের তদন্তে সামনে এল আরও এক তথ্য। সূত্রের দাবি, চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সহকারী প্রধান নির্যাতিতার পরিবারকে প্রথম ফোনটি করেন। নির্যাতিতা হাসপাতালে আত্মহত্যা করেছে। এমনটাই মৃতার পরিবারকে জানানো হয় বলে দাবি সূত্রের। এবার চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান ও সহকারী প্রধানকে তলব করল লালবাজার।
সূত্রের খবর, ওই দুই জনকেই মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এর আগে মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন, হাউস স্টাফ, পিজিটিসহ ৭ জুনিয়র চিকিৎসককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পুলিশ সূত্রের দাবি, ওই রাতেই সেমিনার হলে ধর্ষণের পর খুন করা হয় তরুণীকে। এর মধ্যে চারজন ভিকটিমকে নিয়ে খাবারও খেয়েছিলেন। কলকাতা পুলিশ শীঘ্রই মেডিকেল কলেজ থেকে আরও কয়েকজন ডাক্তারকে ডাকবে। এর আগে রবিবার দ্বিতীয়বার মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে যান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সেখানে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইতিমধ্যেই একজন গ্রেফতারও হয়েছেন। তিনি বলেন, 'অপরাধ করার পর অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় বাড়িতে ফিরে গিয়েছিল। শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সে ঘুমিয়েছিল। ঘুম থেকে ওঠার পর, প্রমাণ নষ্ট করার জন্য অপরাধের সময় পরে থাকা জামাকাপড় ধুয়ে ফেলে। তল্লাশির সময়, তার জুতোয় রক্তের দাগ মেলে।'
এদিকে তদন্তে আরও গতি SIT-কে আরও শক্তিশালী করেছে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, আইপিএস পদমর্যাদার একজনকে আনা হয়েছে তদন্ত দলে। কলকাতা পুলিশ এসআইটি-কে সাহায্য করার জন্য এক শিফটে ১৫ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করেছে। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার দাবি করেন, SIT একদিনে তিন শিফটে কাজ করছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ডিউটিতে থাকা লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়েছে। SIT সহ ফরেনসিক ইউনিট সেমিনার হল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ক্রাইম সিনও রিক্রিয়েট করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মৃত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।