Kolkata Doctor Rape Murder : চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের পর নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়, চাঞ্চল্যকর তথ্য

আর জি কর-এ জুনিয়ার ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি। পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় নিজের জায়গায় ফিরে এসে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে।

Advertisement
চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের পর নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়, চাঞ্চল্যকর তথ্য Kolkata doctor rape murder
হাইলাইটস
  • আর জি কর-এ জুনিয়ার ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি
  • পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

আর জি কর-এ জুনিয়ার ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি। পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় নিজের জায়গায় ফিরে এসে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে। তারপর ঘুম থেকে উঠে প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করে। খবর পুলিশ সূত্রে। 

পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, ধর্ষণ করে খুনের পর সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঘুমোয়। তারপর প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে ওঠার পর সে জামাকাপড় কাচে। যদিও পুলিশ অভিযুক্তের জুতো থেকে রক্তের নমুনা পেয়েছে। তা ফরেনসিক টেষ্টের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও সে আর জি কর-এর কোনও দায়িত্বে ছিল না। তারপরও হাসপাতালের সব জায়গায় তার অবাধ যাতায়াত ছিল। 

সঞ্জয় রায় ছাড়াও আরও কেউ এই ঘটনায় জড়িত ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ চূড়ান্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার অপেক্ষা করথে। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে ভুক্তভোগীর চোখ, মুখ এবং গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়াও শরীরের একাধিক জায়গাতেও ক্ষত মিলেছে।  

পুলিশের এক আধিকারিক পিটিআই-কে জানিয়েছে, 'যারা সেই রাতে ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করা হচ্ছে।'

তদন্তকারীরা এর আগে জানিয়েছিলেন, সঞ্জয় রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের পিছনের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মদ্যপান করতে গিয়েছিল। সেখানে সে মাঝেমাঝেই যেত। মদ্যপানের পাশাপাশি বিকৃত পর্নোগ্রাফি দেখত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সঞ্জয় যে ধরনের পর্নোগ্রাফি দেখত, তা অত্যন্ত বিকৃত এবং অস্বাভাবিক। 

অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময়, অর্থাৎ ভোর ৪টার দিকে, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ৫ থেকে ৬ জন ব্যক্তি চেস্ট মেডিসিন বিভাগে প্রবেশ করছে। তবে তাদের সবাইকে পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, কারণ তারা হাসপাতালের অন্য রোগীদের আত্মীয় ছিলেন। কিন্তু সঞ্জয় রায়ের ওই বিভাগের ভিতরে ঢোকার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না। ফলে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
    

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement