R G Kar Medical College কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর কেটে গেছে বেশ কয়েকদিন। ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে CBI। তাদের হাতে তদন্ত যাওয়ায় খুশি আন্দোলনকারীদের একাংশ। তবে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কমছে না আন্দোলনকারীদের।
অভিযোগ, আরজি করের সেমিনার হল লাগোয়া ঘর ভেঙে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। চিকিৎসকদের প্রশ্ন, যে হাসপাতালে এই জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই হাসপাতালের সেমিনার হল কেন সিল করা হয়নি? সেমিনার হল সিল করে দেওয়া উচিত ছিল।
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অভিযোগ, সেমিনার হল খোলা রাখার পিছনে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মেরামতের কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু, মেরামতের কাজ সেমিনার হলের পাশের কক্ষে করার কথা ছিল। তারপরও কেন খুলে রাখা হল তার কোনও উত্তর কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। অভিযোগ, তথ্য প্রমাণ নষ্ট করতেই সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। সেমিনার হলের ভেতরে CCTV ক্যামেরাও ছিল না। চিকিৎসকদের দাবি, এটাও এক ধরনের অবহেলা।
কেজিএমইউ, লখনউ-এর প্রতিবাদী চিকিৎসকরা বলছেন, কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই-এর কাছে তদন্ত হস্তান্তর করেছে তবে এই অপরাধের তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু তদন্ত হবে কীভাবে?
গত ৯ অগাস্ট আরজি করের সেই সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের দেহ মেলে। তাঁকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। এই মামলার ময়নাতদন্ত রিপোর্টও সামনে এসেছে। সেই রিপোর্ট পুলিশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। সূত্রের খবর, নির্যাতিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। ভোর ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটননায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসপাতালের কর্মচারী বা রোগীর কোনও আত্মীয় নয়। কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করত সে। অভিযোগ, সঞ্জয় মদ্যপান করে অশ্লীল ছবি দেখত। ঘটনার রাতে সে বেশ কয়েকবার হাসপাতালের ভিতরে আসা যাওয়া করে। জানা যাচ্ছে, যখনই কোনও পুলিশ সদস্য আরজি কর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতেন, সঞ্জয় রায় ওষুধ আনতে এবং অন্য সাহায্য করার জন্য হাজির হয়ে যেত। অভিযোগ, হাসপাতালের পিছনে বসে সঞ্জয় মদ খেত ও অশ্লীল ছবি দেখত।
খবরে প্রকাশ, সেদিন রাতে ওই সেমিনার হলে লেডি ডক্টর তাঁর চার সহকর্মীর সঙ্গে ডিনার খেয়েছিলেন। তারপরের সকালে ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় সেমিনার হল থেকে।