আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুূনে প্রকাশ্যে এল সিসিটিভি ফুটেজ। নজরদারি ক্যামেরার ওই ভিডিওয় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। সে সেমিনার হলের দিকে যাচ্ছিল।
ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সঞ্জয় যখন সেমিনার হলে প্রবেশ করে, তখন তার গলায় ছিল ব্লুটুথ হেডফোন। যখন সে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়, তখন তার গলায় কোনও ব্লুটুথ হেডফোন ছিল না। ওই ব্লুটুথ হেডফোনটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই প্রথম এই ঘটনার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেল। এই সিসিটিভি ফুটেজটি ৯ অগাস্ট গভীর রাতের (ভোর ৩টে থেকে ৪টে)। সঞ্জয় রায়কে আরজি কর হাসপাতালে দেখা গিয়েছিল। ওই সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের হাতে একটি হেলমেটও ছিল। সঞ্জয় জিন্স এবং টি-শার্ট পরেছিল। এই ধরনের হেলমেট কলকাতা পুলিশ অফিসাররা ব্যবহার করেন, যা ইউনিফর্মের একটি অংশ।
ঘটনার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল?
ভোর ৩টে ৪২ মিনিট- অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় হাসপাতালের গেট দিয়ে আরজি দিয়ে প্রবেশ করে। গেটের কাছে বাইক পার্ক করে।
ভোর ৩টে ৪৮ মিনিট- সঞ্জয় রায়কে এমার্জেন্সি বিভাগ এবং ভবনের র্যাম্পে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে।
ভোর ৪টে ৩ মিনিট- সঞ্জয় রায়কে ক্রাইম সিনের (সেমিনার হল) কাছে চার তলার করিডোরে দেখা গিয়েছে।
ভোর ৪টে ৩২ মিনিট- অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে চার তলার চেস্ট ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে।
ভোর ৩টে ৩৭ মিনিট- সঞ্জয় রায় নিজের বাইকে আরজি নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৮ ও ৯ আগস্ট মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা করে সে। গ্রেফতারির পর নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিল সঞ্জয়।