Kasba Law College Case: কসবায় কলেজের মধ্যেই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। বুধবার, ২৫ জুন সন্ধ্যায় কসবার একটি আইন কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০:৫০-এর মধ্যে কলেজ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
ঘটনার পরপরই কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ। গতকাল রাতে কসবার তালবাগান ক্রসিং এলাকা থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ধৃতরা ওই ল কলেজেরই ছাত্র বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশি জেরায় উঠে আসে আরও এক অভিযুক্তের নাম। পরে তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তৃতীয় অভিযুক্ত ওই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে একজন আইনজীবী। অভিযুক্তের বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার পর নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয় চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল মেডিকেল কলেজে। মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
এত বড় ঘটনা কীভাবে কলেজ চত্বরে ঘটল— সেই প্রশ্নে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক টিমও। ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করে দেখা হবে অপরাধের সময় অভিযুক্তরা কোনও প্রমাণ ছেড়ে গিয়েছে কিনা। ঘটনাস্থল কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় কলেজের ভিতরে আর কে কে ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার আগে-পরে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তরুণীর সঙ্গে তিন অভিযুক্তের কতটা পরিচয় ছিল, তাঁকে কীভাবে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের স্মার্টফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় অন্য ছাত্রছাত্রীরা কী করছিলেন, কেন কেউ কিছু টের পেল না, সেই প্রশ্নও উঠছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত তিনজনের মোবাইল কল রেকর্ড ও লোকেশন ডেটা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে কলেজ কর্তৃপক্ষকেও ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সব মিলিয়ে, কসবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আইন কলেজের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তদন্তে কসবা থানার পুলিশ।