পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন যুবতী। সেই কারণে তাঁকে গুলি করে খুন করল বাবা ও খুড়তুতো ভাই। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেও পলাতক অন্যজন। তার সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের।
২০ বছরের ওই যুবতী তনু গুর্জরের অভিযোগ, তিনি ছয় বছর ধরে একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজিও হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তবে পরে তাঁরা বেঁকে বসেন। পরিবর্তে তাঁর বাবা অন্যজনের সঙ্গে বিয়ের ঠিক করেন।
যুবতী এই নিয়ে ভিডিও বানান। তাঁর অভিযোগ, পরিবারের অমতে অন্য ছেলেকে বিয়ে করতে চাওয়ায় তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন তাঁর বাবা মহেন্দ্র গুর্জর ও খুড়তুতো ভাই রাহুল। এই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি চরমে ওঠে।
এরই মধ্যে যুবতীর বানানো ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ১৮ তারিখ তনুর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তখন খাপ পঞ্চায়েত বসানো হয়। সেখানে ডাকা হয় পরিবারের সদস্যদের। তখনই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তদন্তকারীরা এসে তনুর সঙ্গে কথা বলতে চান। তবে মহেন্দ্র জানান, তিনি আগে মেয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর তিনি তনুকে নিয়ে যান একটা ঘরে। সেই ঘরে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন রাহুল। তখন তনুকে গুলি করে তাঁর বাবা ও ভাই। পরপর চার রাউন্ড গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তনু। সেখান থেকে চম্পট দেন রাহুল। যদিও ঘটনাস্থল থেকে মহেন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গোয়ালিয়রের ডিএসপি জানান, 'তনু নামের এক যুবতীকে খুন করেছে তাঁর বাবা ও ভাই। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ওই যুবতী এক ছেলেকে ভালোবাসতেন। তাঁকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তবে পরিবার রাজি হয়নি। তার থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।'